Monday, November 23, 2015

যুদ্ধাপরাধের ডামাডোলে মুক্তিযুদ্ধই হারিয়ে যাচ্ছে না তো?

এইরকম কথাগুলো মনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই জমেছিল। আজ দেখলাম উনিও বলছেন, তাই শেয়ার দিলাম। ভিডিওর লিংক নিচে আছে।
______________________//_____________________//________________

আমি আসলে বর্তমান বাংলাদেশের জনসাধারনের দোষ দেখিনা। বরং আজকের তরুন সম্প্রদায় যেভাবে দেশকে ভালবাসছে তা দেখে আমি অভিভূত হই বার বার। দুঃখও পাই সাথে সাথে। কারন এই ভালবাসা আমার দেশের মধ্যে থেকে জন্ম নেয়নি। আমরা বাইরে আসি বা কঠিন কোন পরিস্থিতিতে পড়ে বুঝতে শিখি দেশ কি। বা উম্মুক্ত নেটের জমানায় অন্যকে দেখে নিজের দেশকে চিনি। তারপরে বুঝতে পারি এই দেশটাই সব, এটাকে ভালবাসতে হবে। কিন্তু এই বোধটা তো দেশের ভিতর থেকেই জন্ম নেয়ার কথা ছিলো। কেন নেয়না? যেই দেশের লোকজন শুধুমাত্র মুখের ভাষার জন্য যুদ্ধে যেতে পারে, সেই দেশের লোকজন দেশকে ভালবাসবেনা কেন? এটা আমার মাথায় ধরছিলনা। বিষয়গুলো নিয়ে পড়ার চেষ্টা করছি অল্পবিস্তর।

আমার মনে হয়েছে স্বাধীনতার পরে বিশেষ করে শেখ মুজিবকে মেরে ফেলার পরে এই দেশের আসল ইতিহাসটাকেই সামনে আসতে দেয়া হয়নি। মানুষ জানেনা এই দেশের সঠিক ইতিহাস কি। একের পর এক ভুল ইতিহাস আমাদের সামনে দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আমাদের জন্ম সম্পর্কেই সন্দিহান এবং একটা অস্বচ্ছ ধারনা রাখি। আমরা আমাদের জন্ম নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারিনা, আমাদের জন্মে যাদের অবদান আছে তাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনা। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা করতে চাইনা, কিন্তু আমাদের অভ্যাসই নাই। তাই আমাদের মেরুদণ্ডটাও আর কোনদিন সোজা হয়নি। অপরদিকে সুবিধাবাদিরা এই সুযোগে আমাদের রক্তে অনেক কৃত্রিম হিমোগ্লোবিন ঢুকিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। তাই আজকে দেখি যুদ্ধাপরাধীদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যত মিডিয়া কভারেজ হয় তার ছিটেফোঁটাও হয়না মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের নিয়ে। এবং এইসব অসভ্যতামির কারনে একসময়ের সর্বপরিচিত যুদ্ধাপরাধীরা আজকে সাহস পাচ্ছে বুক ফুলিয়ে বলার যে তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি। তাই আমি অন্তত দিধাহীনভাবে বলবো শেখ মুজিবকে মেরে ফেলার পরে যেসব লোকজন ক্ষমতায় ছিলেন তাদের অবদানও কম নয় বাঙালী জাতিকে কনফিউজড রাখার ক্ষেত্রে।

আমরা আমাদের দেশে এখনো কথা বলি কে স্বাধীনতার পক্ষে আর কে বিপক্ষে। ওখানে আমরা স্বাধীনতা নিয়ে এখনো রাজনীতি করি। আমাদের দেশে স্বাধীনতার উপড় ভিত্তি করে জনগনকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। কিন্তু পৃথিবীর কোন দেশে এমনটা হয়না। সব দেশেই স্বাধীনতা সবার, এটাকে নিয়ে ভাগাভাগি হয়না। এই ভাগাভাগিটা ৭১ এ ই শেষ হয়ে আবার কথা ছিল। যাদের কারনে হয়নি আমার চোখে তারাও বেঈমান, তারা অন্তত আমার মত লোকজনের সাথে বেঈমানি করেছেন যাদের জন্ম ৭১ এর পরে।

আরও একটা ব্যাপার নিয়ে পড়ি মাঝে মাঝে। সেটা হল ধর্ম। ইসলাম ধর্মকে নিয়ে যে কত ধরনের অপব্যাখা আছে তা লিখে শেষ করার মত নয়। যে যেভাবে পারে সেভাবে ব্যখা দিচ্ছে। কেউ কেউ কোরানের দু এক লাইন তুলে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ ইসলাম বলেছে এইসব অপব্যাখ্যাকারিদের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারিত আছে। ইসলাম বলেছে ইসলাম নিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে কোরান বা সহি হাদিস দেখো। কিন্তু আমরা তা করিনা। আমরা অন্যের কথার উপড় বেশি নির্ভর করি। তাই অন্যরা আমাদের নিয়ে, আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে খেলছে। অথচ আজকাল নেটে কোরানের বাংলা কপি পাওয়া যায় অহরহ। ধর্ম পালন আর রাজনীতি যে এক জিনিস নয় এটা আমাদের লোকজনকে কেউ বলেনা সঠিকভাবে এবং মানুষগুলোও বুঝতে পারেনা ঠিকমত। 




Tuesday, October 13, 2015

.............. মনটা বড়-ই উদাস .......!


১।
কিছু ঔষধ দরকার। আমি আমার শিক্ষক পরিচয়টা ভুলে যেতে চাই। শিক্ষকতায় এসে এতো অপমান সহ্য করতে হবে কোনদিন ভাবিনি। বিস্মিত চোখ/কান নিয়ে দেখছি/শুনছি, যেসব লোকজন শিক্ষক হবার যোগ্যতাই রাখতেন না তারা শিক্ষক হয়ে আজকে শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং হাজারো মেধাবী শিক্ষকদের অন্তহীন কান্নার কারন হয়ে উঠছেন। এবং তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যাকে বেশি শ্রদ্ধা করি সেই শেখ মুজিবুর রহমান কে আজ পেলে বলতাম আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন দেশটাকে স্বাধীন করে। আপনি তো নিজের জীবন দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে গেলেন, এখন আমরাও সেই পথে ............

২।
আজ বারবার ই মনে হচ্ছে ঠিকমত পড়ালেখা করে ভুল করেছি। সেকেন্ড ক্লাস পেয়ে শিক্ষক হলেই ভালো হতো। এইরকম মানসিক দহনটা থাকতো না তখন, কারন আমিও তখন রাজনীতিবিদ হতাম। আজকে কোথাকার কোন ফরাসউদ্দিন কি বলছেন তাতে আমার কিছু যেত আসতো না। নাহিদ সাহেব বা মুহিত সাহেবর কথা শোনার পর বলতাম, দলের নেতা বলেছে ঠিকই বলেছে। ভুলটা আমারই, লজ্জাও আমার ...............

৩।
শিক্ষকতা পেশাটাকে আসলেই ভালবাসি। কারন এই পেশায় থেকে কত মানুষের যে উপকার করতে পেরেছি বিনা স্বার্থে তা নিজেও জানিনা। কারো উপকার করার পর নিজেকে অত্যন্ত পবিত্র লাগতো এবং ওইটা নিয়েই বেচে থাকতাম। কোনদিন হিসেব করিনি কত টাকা পাই। তবে কেউ কোনদিন এইভাবে সরাসরি গায় পড়ে এসে অসম্মান করে যায়নি।

প্রত্যেক প্রথম ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইতাম কে কি হতে চায়। দেখতাম কেউ শিক্ষক হতে চায় কিনা। চাইলে উৎসাহ দিতাম। আর কোনদিন সেই উৎসাহ দিতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। যাদেরকে দিয়েছি, তাদেরকে বলছি, শিক্ষকতায় আসবেন না। বাঙ্গালি জাতি শিক্ষার মর্যাদা বুঝার মত শিক্ষিত হয়নি। এরা শিক্ষার মর্যাদাকে redefine করেছে। তাই নিরাপদ দুরুত্বে থাকবেন এদের কাছ থেকে। এরপরেও যদি আপনার এই পেশায় আসতে ইচ্ছে হয়, দয়া করে বাংলাদেশে তা করবেন না। আমেরিকায় মাষ্টার ডিগ্রী করতে চলে যান, ওখানকার ডিগ্রী দিয়ে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে যাবেন।

এই দেশটা ফরাসউদ্দিনদের দিয়ে যান দয়া করে। উনাদের এই দেশটাকে চুষে খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দেশে দয়া করে আপনি আপনার শুরুটা করবেন না। তাহলে আজকের এই আমাদের মত আপনাকেও ভাবতে হবে শিক্ষকতায় এসে ভুল করেছেন।

Saturday, October 3, 2015

শিক্ষামন্ত্রীর (বাংলাদেশ) শিক্ষার দৌড়

“পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা শতভাগ টাকা দেই। কিন্তু আমাদের ক্ষমতা শূন্য ভাগ। … একই শিক্ষক ক্লাসে শেখাতে পারেন না অথচ টাকা দিলে বাড়িতে এসে বুঝিয়ে দেন।” (বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী, ২।১০।২০১৫)
______________________________//_________//_______ !!

যেই লোকের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান নাই উনি চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে। আমি এতদিন শিক্ষকতা করার পরেও এখনো দেখিনি কোন ইউনি শিক্ষককে বাসায় গিয়ে পড়িয়ে আসতে, নাহিদ সাহেব কোথায় দেখলেন? উনার বাসায় কি কিছু চিড়িয়াখানা টাইপের ইউনি আছে নাকি? আমি কিন্তু এরপরেও নাহিদ সাহেবকে দোষ দিচ্ছিনা, বরং সহমর্মিতা প্রকাশ করছি উনার জন্য। 

আসলে নাহিদ সাহেবের দোষ দিয়ে কি লাভ? বান্দা নিজে তো আর ইউনিতে পড়েন নাই, ইউনি সম্পর্কে উনার ধারনা থাকবে কি করে? তারপরেও উনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মত একটা অতি গুরুত্বপূর্ন দপ্তর সামলান। এই মন্ত্রণালয় চালাতে গিয়ে উনি অনেক ইউনির অনুমতি দিয়েছেন। যেমন, উনার অনুমতি নিয়ে একজন অতি প্রভাবশালী  আওয়ামী নেতা (শিক্ষক নেতা) জামাতে ইসলামীর নেতাদের জন্য নিজের নামে ইউনির অনুমতি নিয়েছিলেন। পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছিলো এটা নিয়ে তখন। উনার সরকার উপরে উপরে জামাতরে ঘৃনা করলেও (করে কি?) তলে তলে নাহিদ সাহেবদের সাথে জামাতিদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ইউনিতে পার্শ্ববর্তী একটা দেশের কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করা এক ভদ্রলোক চাকরি করতেন, উনাকে কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়েছে। এই ভদ্রলোককে কাজী নজরুল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভাইভা কার্ডই দেয়নি। কিন্তু উনি এখন জাবির শিক্ষক। নাহিদ সাহেবদের এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দেখার অভ্যাস। এখনো প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক উনি দেখেন নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্পর্কে উনি যথাযথ মন্তব্য করবেন কি করে? কেউ কি দয়া করে উনার ইমেইলে বা অন্য কোন উপায়ে ইউনি শিক্ষক সম্পর্কে কিছু প্রকৃত তথ্য পাঠাবেন? ভদ্রলোকের অনেক উপকার হবে। দয়া করে কালক্ষেপন করবেন না, তাহলে বাংলাদেশ আরেকটা 'মাল' পাবে। এক মালের যন্ত্রণায়ই অস্থির হয়ে আছি, আর দরকার নাইরে ভাই !!

বিধাতা সবাইকে জ্ঞানচক্ষু দান করুন, আমিন !!

Thursday, October 1, 2015

সরকারের practical class এবং একজন শিক্ষকের লজ্জা

একজন শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর সময় বইয়ের বাইরে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও অনেক কিছু বলেন। আমিও মাঝে মাঝে বলতাম। কিন্তু এখন দেখে খারাপ লাগছে আমার আর বর্তমান আওয়ামী সরকারের অভিজ্ঞতা একই রকম !!
___________________________---------______ .........................................

যেদিন BBA এর প্রথম ক্লাস ছিলো সেদিনই রানা স্যার পরীক্ষা নিলেন, বুজলাম বড্ড বেশি সিরিয়াস জায়গায় এসে পড়েছি। এর পরে দেখা হলো ব্যাচ ম্যানেজার শাহ আলম স্যারের সাথে। উনি অনেক কথা বললেন (স্যার মনে হয় এমনিতেও অনেক বেশি বলতেন আবেগী হয়ে)। তবে উনার একটা কথা আজীবন মনে রেখেছি। উনি বলেছিলেন, "পড়তে এসেছো, মন দিয়ে পড়। ভালো কিছু এখানে করতে পারলে আজীবন ওইটা নিয়ে চলতে পারবা। সুতরাং রাজনীতি করবানা। হলে গিয়ে দেখবা তোমাদের দুই এক ব্যাচ সিনিয়ররা muscle ফুলিয়ে চলছে, নিজেরে বস মনে করে তোমার উপড় কিছু অন্যায় অত্যাচারও করবে। কিন্তু চার বছর পরে চাকরি করতে গিয়ে দেখবা তুমি এদের অনেকের বস হয়ে গেছ।" 

স্যারের এই বানীই আমি আমার student দের সবসময় বলে এসেছি, যে রাজনীতি করতে চাইলে করবেন, কিন্তু সেজন্য আগে নিজেকে তৈরি করেন। ছাত্রজীবন রাজনীতির জন্য নয়। এদেরকে আমি বলতাম যে আগে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেন, তারপরে কথা বলেন, দেখবেন আপনার কথা মানুষ শুনছে। আমি শাহ আলম স্যারের কথা শুনলেও আমার সব student যে আমার কথা শুনেছে এমনটা নয়। তবে কেউ না কেউ তো মেনেছে, তাতেই আমি খুশি।

In a very unexpected way, বর্তমান সরকারের বর্তমান কর্মকান্ড আমার এই থিয়োরিটা বার বার prove করছে, এই যেমন গত কয়েকদিন ধরে তো অনবরতই করছে। কিছুদিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের student রা যখন আন্দোলন করলেন, পুলিশ কিন্তু এতো বেশি মারমুখী হয়নি। বরং কেবিনেট মিটিঙে সব সমাধান করে দিয়েছেন সরকার। কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছুরা যখন একটা চরম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, পুলিশ তাদের আন্দোলন করা শিখিয়ে দিলেন আচ্ছা মত। এদের দোষটা কোথায়? এদের বাপ মায়ের অনেক টাকা নাই? এদের বাপ মায়ের বড় বড় পজিশন নাই? তারমানে পজিশনই সব, সেটা নিজের হোক বা বাপ মায়ের হোক।

আমি চিন্তা করছি বর্তমান সরকার আমার থিওরির এইরকম সুন্দর practical class নেয়ার পরে আমি কি ক্লাসে গিয়ে আর এই থিওরি আওড়াতে পারবো? পারলেও কেমন যেন একটু লজ্জা লজ্জা লাগবেনা?

Wednesday, September 30, 2015

পুরনো দিনের গান, আজো ভরে মন প্রান !

গ্রামে বড় হয়েছি। বিনোদন বলতে ছিলো রেডিও শোনা এবং বেশিরভাগ সময় বাংলা সিনেমার গানই শুনতাম। অনেকের গান ভালো লাগতো, তবে এন্ড্রু কিশোরের গানগুলো মনে হতো অন্য দুনিয়ার। আমার এখনো তা মনে হয়, উনি এতো ভালো করে গায় কি করে?! বাড়ি ছেড়ে স্কুল হোস্টেলে উঠার পর ধুমাইয়া বাংলা সিনেমা দেখতাম, একা একা বা বন্ধুদের সাথে। হোস্টেল সুপার স্যার (মরে গেছেন, আল্লাহ বেহেশত নসীব করুন) এর strict নিষেধ থাকার পরেও উনাকে ফাকি দিয়ে রাতে সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। খাটের উপড়ে লেপ মুড়ি দিয়ে রেখে রেডিও ছেড়ে মুভি দেখতে গিয়েছিলাম, স্যার এসে চেক করার সময় ওটা দেখে ভেবেছিলেন আমি ঘুমিয়ে আছি। ধরাও পড়েছিলাম শেষ পর্যন্ত। স্যার মারি মারি করেও আমাকে মারেন নি কোনদিন। কিন্তু আমার সাথে থাকা নিজের ছেলেকে মেরেছিলেন। স্যার মারার জন্য বিখ্যাত ছিলেন কোন অন্যায় পেলে। আমার বড় ভাইকেও মেরেছিলেন সেইরকম। আমি বেচে গেছিলাম কোনমতে। স্কুল শেষ, বাংলা সিনেমা দেখার পালাও শেষ। স্কুল লাইফের পরে কয়টা বাংলা সিনেমা দেখেছি হাতে গোনা যাবে।

এন্ড্রু কিশোরকেও আর শোনা হচ্ছিলোনা ওই মাঝে মাঝে ইত্যাদি অনুষ্টান বাদে। কিন্তু ভালো লাগাটা ছিলো। গতকাল Youtube এ কি করে যেন একটা লিংক আসলো বাংলা সিনেমার গানের। দেখলাম; মনে হয় পুরনো ভালোলাগাটা জেগে উঠেছিলো; আরও বেশ অনেকগুলো গান ই দেখলাম। বেশিরভাগই এন্ড্রু কিশোরের। কেমন যেন একটা ভালোলাগা অনুভব করলাম। কোন রকম বিরক্তি অনুভব করলাম না। দেশ থেকে দুরে আছি বলে কি এমন হলো? কি জানি .................. তবে সেই যুগের গানগুলো আজকের rap বা metal এর চেয়ে অনেক ভালো ছিলো মনে হয়। অন্তত চিৎকার ছিলোনা ওই গানগুলোতে, কণ্ঠের কারুকাজ ছিলো।

[বিঃ দ্রঃ -- গানের বিশারদ নই, তাই গানের কারুকাজ অতটা বুঝিনা, শুধু বুঝি শুনতে কেমন লাগে। no hard feelings, please]

Wednesday, September 23, 2015

জাবি, জানবিবি না প্লীজ


আমি অনেকদিন ধরেই লিখবো ভাবছিলাম এই ব্যাপারটা নিয়ে, কিন্তু লেখা হয়ে উঠেনি। আজ অনেককে ফেসবুকে এটা নিয়ে লিখতে দেখলাম। তাই ভাবলাম নিজের মতটাও একবার দেই। হয়তো অনেকের সাথে মিলবেনা, আগেই দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অতি প্রিয় এক জায়গার নাম। এখানে আমাদের জীবনচরিত্রের এতো কিছু ঘটেছে যে  তা বলে বা লিখে শেষ করা যাবেনা। তাই এইটাকে নিয়ে আমাদের আবেগও সীমাহীন। কতভাবেই না দেখি এই অতিপ্রিয় ক্ষুদ্র জায়গাটিকেঃ প্রথম প্রেম, প্রথম স্বাধীনতা, প্রথম গোঁফে তা দিয়ে রাত ২-৩টা অব্দি আড্ডা দেয়া………… ইত্যাদি।

এই প্রিয় জায়গাটিকে সংক্ষেপে জাবি বলেই চিনি আমরা। নিজেরা ডাকিও এই নামে। কিন্তু ইদানিং এটাকে জানবিবি বলা শুরু হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যাপারটা অনেকটা হিপ হপ কালচারের মত। কিন্তু যারা ডাকেন এই নামে তাদের কাছে এইটা নাকি ইমোশনের বহিঃপ্রকাশ। হতে পারে; কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু, আমরা কি সব ইমোশন সব জায়গায় বা সব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করি? উত্তর হলো ঃ না। উদাহরন দেখি চলুন।

প্রথম ভালবাসার মানুষটিকে যখন আপনি বিয়ে করেন, তখন কেমন লাগে? জীবনটাই অন্যরকম বেহেশত মনে হয়। বউকে তখন কত নামেই না ডাকেন, যেমন, জান, পাখি, সোনা ইত্যাদি। কিন্তু কয়দিন এই নামে বউকে মানুষের সামনে ডেকেছেন? আমার অভিজ্ঞতা বলে, আমরা যখন বউকে মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই, তখন খাটি বাংলাতেও অস্বস্তি লাগে। আমরা পরিচয় করাই এইভাবেঃ উনি আমার ওয়াইফ।

তারমানে কি দাড়াচ্ছে? আপনি আপনার ইমোশন নিয়ে আপনার বউকে পরিচয় করান না। তাহলে জাবিকে পরিচিত করার জন্য কেন আপনার অন্য নাম লাগবে? জাবি নামটা যথেষ্ট নয় কেন? এই জায়গায় আপনার ইমোশন কেন জাবির পরিচয় কেড়ে নিতে চাইছে? একবার চিন্তা করে দেখবেন প্লীজ। আপনারা অনেকে এই ক্যাম্পেইনটা শুরু করলে একসময় হয়তো জানবিবি নামটা established হয়ে যাবে, কিন্তু হারিয়েও যাবে অনেক কিছু। আমার অনুরোধ হল, চলুন জাবিকে জাবিই বলি বিশ্বদরবারে। বাকি নিজেদের মধ্যে কি বললাম তাতো ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ

Tuesday, September 22, 2015

তাহলে কি শিক্ষামন্ত্রীরও শিক্ষার অভাব আছে? মাল সাহেবকে জিজ্ঞেস করতে হবে !!


শিক্ষামন্ত্রী বললেন যে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল এখনি দেয়া যাবেনা। সময় লাগবে। কত সময় লাগবে পাঞ্জেরী? শিক্ষকরা কি এই দাবিটা আজকেই প্রথম তুললেন? উনারা না আলাদা বেতন স্কেল দেয়ার ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসেছিলেন? তো এই ওয়াদা ভঙ্গের দায়ে যদি সমস্ত শিক্ষক একযোগে আওয়ামীলীগ বর্জনের ঢাক দেয় তাহলে কি হবে? শিক্ষামন্ত্রীর জ্ঞ্যানের অভাব আছে কিনা জানিনা, তবে রাজনৈতিক জ্ঞান আছে বলেই মনে করছি। উনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে আশা করছি উনি বুঝবেন যে একজন শিক্ষক অনেক জনকে আওয়ামীলীগ থেকে দুরে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। তো এই muliplier effect টা আওয়ামীলীগের জন্য শুভকর হবে কি? উনি তো তখন মন্ত্রীই থাকবেন না, এইসব বুলি আওড়াবেন কি করে? তাই শিক্ষকদের প্রাপ্য সন্মানটা দেয়া উনার জন্য বা সরকারের জন্য win-win solution. সরকার এটা যত দ্রুত বুঝবেন ততই মঙ্গল হবে উনাদের এবং জাতির জন্য।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সেনাবাহিনীকে আলাদা বেতন স্কেল দেয়া হলো। এইটা কি নির্বাচনী ওয়াদায় ছিলো? আমি জানিনা। আলাদা বেতন স্কেল দিয়েছে তা নিয়ে আমার ক্ষোভও নাই। দিতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো শিক্ষকদের ব্যাপারে কেন এত অবহেলা? সেনাবাহিনীর entry level requirement হলো SSC বা HSC. বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা হলো bachelor degree. কিন্তু গুটিকতক ব্যতীত সব ইউনি শিক্ষকদের entry level requirement হলো minimum master degree. কেউ কেউ বিদেশী master বা PhD নিয়েও চাকরিতে জয়েন করেন। তাহলে কোন বিবেচনায় বেশি যোগ্যতার লোকগুলোকে কম মূল্যায়ন করা হচ্ছে? এই দুটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হবার আগেই তো শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল হওয়া উচিৎ ছিলো। তাই নয় কি?

তাহলে কি বুঝতে হবে সরকার আসলে মেধার জোরে কাজ না করে যেখানে ক্ষমতা আছে তার প্রেক্ষিতে কাজ করেন? অথচ এখন পৃথিবীজুড়ে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসছেন। PhD ডিগ্রীধারীদের অনেক সরকার নিজেদের উপদেষ্টা বানান যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।

Monday, September 14, 2015

Its all fu****g BUSINESS !

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশী সংস্কৃতি আবারো প্রমান করলো ভদ্র এবং মেধাবী লোকজনের জায়গা বাংলাদেশ নয়। রাস্তায় যখন ছাত্ররা নামলো এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়সাওয়ালারা নড়াচড়া করা শুরু করলো তখন ভ্যাট প্রত্যাহার হয়ে গেলো। কত দ্রুত কাজ হয়। মাত্র ৩টা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত ছুটির মাত্র কয়েকদিন আগে ছুটি ঘোষনা করেছে। এতেই সরকারের গদি নড়ে গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে অভিনন্দন !

অন্যদিকে ৩৭ টা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অচল এবং সেখানে শিক্ষকদের দাবি চলছে আজ কয়েকমাস ধরে। এতে কারো কিছুই যায় আসেনা। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই সরকারির চেয়ে কম যোগ্যতার শিক্ষক আছেন। মাল সাহেবের মত মালাতগুলোও তাদের ক্ষেত্রে 'জ্ঞানের অভাব' বলার সাহস পাননি। তাহলে কি আমাদেরও রাস্তায় নামতে হবে? নাহলে কেউ শুনবেনা?

আমার সন্দেহ আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক হতে পারবে কিনা। কারন এখানে এখন বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধির ব্যবসা করতে আসবেন। উনাদের একটা অনুরোধ করব-- দয়া করে যেসব ছাত্র পড়িয়েছেন তাদের সম্পর্কে এবং আপনি কি পড়িয়েছেন তা নিয়ে একবার ভাবুন। আপনার বেশিরভাগ ছাত্ররাই আজ আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। এর একটা মানে হতে পারে আপনি যা পড়িয়েছেন তা ভুল ছিলো। কারন আপনি এমন কিছু শিক্ষিত অসভ্য তৈরি করেছেন যারা প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গায় বসে ভাবে আপনি তাদের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছেন। একবারও ভাবেনা আপনার শিখানো শিক্ষা দিয়েই সে আজকে এমন জায়গায় যেতে পেরেছে যেখান থেকে আপনাকে অত্যন্ত তুচ্ছ মনে হয়।
কষ্টও লাগছে, কিন্তু বুঝতে পারছি এইজন্যই শত শত মেধাবী লোকজন বিদেশে এসে আর দেশে ফিরেনা। অন্য দেশের সেবা করে। আমি অতি মেধাবীদের কথা জানিনা। তবে মেধাবীরা আজীবন একটা কষ্ট নিয়ে বেচে থাকে। তাদের প্রত্যেকটা পাওয়ার পিছনে একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে থাকে। প্রতিটা achievement এর পরেই তারা ভাবে এইটা যদি নিজের দেশের জন্য করতে পারতাম !

আমি একজন ভালো চাকুরে হতে পারতাম কর্পোরেট সেক্টরে। এখন নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে এই ভেবে যে কেন এই পেশায় আসলাম। আমার পরিবার চায়নি কোনদিনই। পরিবারের কাছে হাতজোড় করে মাফ চাইবার সময় এসেছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলন প্রসঙ্গে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে কিন্তু ভাংচুর করছেনা। কেউ তার লাখ টাকার গাড়ি নিয়ে বের হয়ে শূন্য হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছেন না। ব্যাপারটা প্রশংসনীয় এবং শিক্ষনীয়।

সাথে আরও একটা ব্যাপার আছে শিখার। তা হলো ঢাকা শহরে এতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি যারা দিয়েছিলেন তারা অনেকেই বোকাদের স্বর্গে বসবাস করেন ! long term plan নামক কোন কিছু এরা জীবনে কোনদিন শুনেনি। এখান থেকে অবশ্য আমাদের মহামান্য সচিবদের ( যারা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আছেন বা ছিলেন) কর্মদক্ষতা সম্পর্কে একটা আন্দাজ করা যায়।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দাঁত এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী সমীপে

ফেডারেশন নিয়ে যদিও আমার কোন উচ্চাশা নাই, তারপরেও উনাদের একটা কথা ভালো লেগেছে যে উনারা মাল সাহেবের সাথে বসবেন না। উনারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসতে চান। কোন একটা পত্রিকায় দেখেছিলাম বেতন স্কেল পাস হবার আগে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী উনাদের সময় দেননি। অবাক লেগেছে। দেশের সবচেয়ে মেধাবী লোকগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার মত কিছু সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বের করতে পারলেন না !! উনার চরিত্রের সাথে ঠিক যায়না (উনাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিলো বলেই বলছি) ।

আশা করছি এইবার উনার কিছু সময় হবে। উনার সরকারের সময়ের যাবতীয় কার্যকলাপ আলোচনা করলে বুঝা যায় শেষ সিদ্ধান্তটা উনার কাছ থেকেই আসে। মাল সাহেব বা নাহিদ সাহেব দের আসলে তেমন বেশী দৌড়ানোর সুযোগ নাই। প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেই মাল সাহেব বেমালুম ভুলে গেলেন শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার কথা। এইটা তো আর এমনি এমনি হয়নি। উপর মহলের সবুজ সংকেত নিশ্চয়ই ছিলো।

আশা করছি শিক্ষকদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হবে, উনি বুঝতে পারবেন শিক্ষকদের যন্ত্রনাগুলো, এবং কিছু সবুজ সংকেত লাল ও করে দিবেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো বুঝতে পারবেন, এরশাদকে মানুষ স্বৈরাচার বলার পরেও ভোট দেয়, কারন এরশাদ সরকারি কর্মচারী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছিলেন। আমি দেখেছি ওইসব কর্মচারিরা এখনো এরশাদকে সেজন্য সন্মান করেন। আজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটা বড় সেক্টরকে অসন্তুষ্ট করে প্রধানমন্ত্রীর কোন অর্জন হবেনা। উনার ক্ষমতায় থাকা হয়তো এই কারনে বিঘ্নিত হবেনা। কিন্তু উনি কি সন্মানটা পাবেন?

Saturday, September 12, 2015

আইনের প্রয়োগে আইন করা দরকার

জনগনের টাকার কি যাচ্ছেতাই ব্যবহার ! এই জন্য কি আমি ট্যাক্স দেই? এইভাবে মানুষকে কোনভাবেই পিটাতে পারেনা আইন প্রয়োগকারী বাহিনী। যেখানে স্যার স্যার বলার কথা সেখানে গালি নিত্য নৈমিত্তিক সন্মোধন ! [ভিডিও নেট থেকে পাওয়া]

 

শিক্ষা সেক্টরের ভন্ডবাবাদের থেকে সাবধান করবে কে?

দয়া করে দায়িত্বশীল interpretation করবেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, আপনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয় অবশ্যই।
_______________________//____________

চাকরি মাত্র কয়েক বছরের। কাজ করেছি অনেক বড় বড় শিক্ষক, সচিব/আমলা, অনেক নীতিবান শিক্ষক, অনেক মিডিয়াবাজ শিক্ষক ইত্যাদির সঙ্গে। অনেককেই দেখেছি শিক্ষা এবং শিক্ষার অধিকার ও পরিবেশ নিয়ে অনেক লম্বা লম্বা কথা বলতে। ছাত্রজীবন থেকেই দেখেছি। ভাবতাম এরা আসলেই ভাল মানুষ। কিন্তু বড় হয়ে এদের যখন লম্বা লম্বা এর জায়গায় হাম্বা হাম্বা করতে দেখেছি তখন থেকে নিজেকে অনেক ভাল মানুষ হিসেবে গণ্য করছি। কারন আমার চেয়েও নষ্ট মানসিকতার লোকজন আছেন। আমি প্রতিদিনই ফেসবুক বা পত্রিকার পাতা খুলে আশা করি উনারা শিক্ষা ও শিক্ষা নিয়ে আজকের এই অসভ্যতামি নিয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু নাহ, উনাদের মুখে ফেভিকল দেয়া আছে। দুর্দান্ত কলাম লেখকদের কলম থেমে গেছে, গলাবাজদের গলা শুকিয়ে গেছে, লম্বা লম্বার জায়গায় আবার সেই হাম্বা হাম্বা। আবারো প্রমান পেলাম মানুষ প্রজাতির মধ্যে আমার চেয়েও কম নৈতিকতার মানুষ আছেন।
________________________//____________

একটা গল্প মনে পড়ে গেলো এই প্রসঙ্গে। সুইডেন দিয়ে আমার বিদেশ গমন শুরু। প্রথমবার দেশের বাইরে আসা, তাও আবার হঠাত করেই। সুইডেনের সুন্দর সুন্দর মেয়েদের দেখতাম ওরা আমাদের মত লোকজনদের পাত্তাই দেয়না। কিন্তু আফ্রিকার কাল্লুমামাদের সাথে সেইরকম খাতির। চিন্তায় পড়লাম, কারন আমার মনে হতো আফ্রিকারগুলোর চেয়ে তো আমরা সুন্দর। তখনো আসলে সাদাকালোর আসল পার্থক্যটা বুঝতে পারিনি। একদিন এক মুরুব্বীকে অন্য এঙ্গেল থেকে ব্যাপারটা জিজ্ঞেসই করে ফেললাম। তো উনি যা বললেন ঃ
সুইডিশ মেয়েরা নিজেদের বাইরে আমাদের মত হলুদ চামড়ার লোকদেরকে বেশ পছন্দ করতো এবং বিয়েও করতো। কিন্তু বিয়ের পরে আমাদের চেহারা বদলে যেত, আমরা ওইসব মেয়েদের গায় হাত ও তুলতাম। কিন্তু একটা সুইডিশ মেয়েতো ভাবতেও পারেনা যে স্বামী গায়ে হাত তুলবে। ডিভোর্স অনিবার্য। কিন্তু আমরা কেন হাত তুলতাম গায়ে? আমরা আসলে পাসপোর্ট পাবার পরে ইচ্ছে করেই হাত তুলতাম যাতে সে আমাদের ছেড়ে যায় এবং আমরা দেশ থেকে আমাদের আসল বউকে নিয়ে আসতে পারি। এইরকম ঘটনা ঘটতে থাকলে সুইডিশ মেয়েরা বুঝে যায় আমরা আসলে মিছকা শয়তান, আমাদের বিশ্বাস করলে ঠকার সম্ভাবনা আছে। কে এত ঝামেলায় যায়? এরচেয়ে কালুগুলাই ভালো। ওরা ভন্ডামি করেনা, আগে থেকেই জানা যে এরা বিশ্বাস করার মত না। সুতরাং এখানে পেইন কম।
___________________________//___________
কিছু কি মিলে যায় আজকের বাস্তবতার সঙ্গে? কিছু কি শিখার আছে এই ঘটনা থেকে?

Wednesday, September 2, 2015

শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষকদের ধাক্কা দিচ্ছেন !!

উনি একজন ভিসি যার সামনে একজন নারী কলিগ হ্যারাসড হন এবং উনি নিজে আরেকজন শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। কি বলবো বুঝতে পারছিনা। জাবিতেও দেখেছিলাম এইরকম তামাশা। ধীরে ধীরে দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় তামাশায় পরিনত হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করে দিলেই হয় যদি উপাচার্যই ঠিকমত নিয়োগ না দিতে পারেন।

এই ভিডিওটা সেইসব আজীবদের জন্য উতসর্গ করলাম যারা প্রায়ই বলেন দেশের কোন ইউনি কেন র‍্যাঙ্কে নাই !!! 


বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দৈন্যতায় ভুগছে নাকি?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবসময়ই দেশকে ভাল কিছু করার প্রেরনা যোগায়। এই প্রেরনা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। আমি কি করে জানি তা? কিছুটা দেখেছি, কিছুটা ইতিহাস পড়ে জেনেছি। বাংলাদেশ এই বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনেক ঋনী। কিন্তু ইদানীংকালের ঘটনাপঞ্জি দেখে মনে হচ্ছে দিন বদলে গেছে; এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরং বাংলাদেশের কাছে ঋনী হয়ে যাচ্ছে। উদাহরন? 

১। অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ (ঢাবির একটা মেয়ে হলে মধ্যরাতে পুলিশ ঢোকায়)
২। অধ্যাপক আনোয়ার (জাবিতে ভিসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং একটা কলঙ্ক)
৩। ফরাসউদ্দিন (শিক্ষকদের পিঠে অপদার্থ সিল লাগিয়ে দিলেন)
৪। অধ্যাপক আমিনুল হক (শাবিপ্রবিতে গডফাদার হয়ে গেছেন)
এগুলো আমি যখন থেকে শিক্ষা ও রাজনীতি বুঝতে শিখেছি তখন থেকে দেখা অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বলা। এই সময়ে ঢাবি অসংখ্য ভাল কাজ করেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

অপ্রাসঙ্গিক বটে, কিন্তু এই ভদ্রমহিলার মত অপদার্থ আমি কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ছেনা। দয়া করে ভিডিওটা দেখবেন। আমি ঠিক বুঝতে পারিনা উনি কোথা থেকে ভদ্রতা শিখেছেন। উনার প্রশ্নগুলো দেখেন বিনা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে!

ভিডিওর লিঙ্কঃ 

শাবিপ্রবি নিয়ে তামাশা চলছে; রাজনৈতিক তামাশা

ফাজলামির একটা সীমা সবসময়ই থাকতে হয়, নাহলে সীমাহীনতার অপরাধ অনেক পাপ ঢেকে আনে। শাবিপ্রবি গড়ছেন শাবিপ্রবির শিক্ষকরা, উনারা এতদিনে ওখানকার লতাপাতাগুলোকেও চিনেন বলে আমি মনে করি। কিন্তু কোন বিবেচনায় সেখানে বাহির থেকে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয় তা আমার মাথায় ঢোকেনা। যেসব লোকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের চালিকাশক্তি, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টাকে সচল রাখেন তাদের সচল রাখতে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয় বাহির থেকে যে কিনা ভার্সিটিটাকে ঠিকমত চিনেন ই না। এইসব আজীব যুক্তিগুলো কর্তাব্যক্তিদের দেয় কে? ওদের চাকরি কেড়ে নেয়া উচিত। জাবিতেও এইরকম একটা নোংরামি করা হয়েছিল। সেটার ফল ভাল হয়নি এবং দুঃখের বিষয় ওখান থেকে কেউ কোন শিক্ষাও নেয়নি।

শাবিপ্রবিতে কি কোন সিনিয়র শিক্ষক নাই যিনি উপাচার্য হতে পারেন? তাহলে কেন এই নোংরামিগুলো করেন নীতি নির্ধাকেরা?

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি আসল সমস্যা, ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল নয়

হায়রে বাঙ্গালী !! এরা আবেগীই থেকে গেলো। সবাই আবেগী হয়ে মজা নিচ্ছেন।

আরে ভাই ছাত্রলীগ কে দোষ কেন দিচ্ছেন? ছাত্রদল থাকলে কি এর থেকে ভিন্ন কিছু হত? অবশ্যই না। শাবিপ্রবিতে হয়েছে কিনা জানিনা, অন্যান্য ইউনিগুলোতে ছাত্রদলের কাহিনীও একই রকম ছিল যখন তারা ক্ষমতায় ছিল। ওহ আচ্ছা, শিক্ষক লাঞ্ছিত করেনি এত বেশি? হা হা হা …… দিন দিন আগাচ্ছিনা আমরা সবাই, আরেকবার আসতে দিন না ক্ষমতায়। মূল পার্থক্যটা হল ক্ষমতা। যখন যেই দল ক্ষমতায় থাকেন তখন তাদের দল/লীগ এইসব সুসংবাদগুলো দেয়। তাই যদি দোষ কাউকে দিতে হয় সেটা ওই ক্ষমতা বা ক্ষমতার উৎস বা ক্ষমতা তৈরির প্রসেসটাকে দেন।

যারা ছাত্রলীগ/দল করে তারাও ছাত্র হিসেবেই ইউনি তে আসে। এদেরকে লীগ/দল বানানো হচ্ছে কেন? এরা না পড়তে আসে ইউনিতে? তাহলে এদেরকে লাঠিয়ালি করার সুযোগ কেন দেয়া হচ্ছে? কারন ক্ষমতাশীলদের এদের দরকার হয় মাঝে মাঝে। এইসব ক্ষমতালোভিদের জন্যই এইসব মেধাবী ছেলেমেয়েগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর ক্ষমতাসীনরা যুক্তি দেখান ছাত্র রাজনীতি দরকার আছে। ৫২/৬৯/৭১/৯০/২০০৭-৮ এ এদের ভূমিকার কারনে দেশ বাঁচতে পেরেছে। বড়ই কঠিন যুক্তি, আপাত দৃষ্টিতে ভাঙা মুশকিল। তাই হয়তো সবাই চুপ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা কি এখনো ৭১ এ আছি? আমাদেরকে কি আরও যুদ্ধ করতে হবে? তাহলে এদেরকে যুদ্ধবস্থায় রেখে লাভ কি? এদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়াড় সময় কি এখনো আসেনি? আর রাজনীতি করতে হলে সেটা শিক্ষাঙ্গনে কেন? ইউনিতে এরা আসে মাত্র ৪-৫ বছরের জন্য। এই সময়েই কি রাজনীতি করতে হবে? তাও আবার শিক্ষক ছাত্র সবাইকে মেরে কেটে? এরা ইউনিতেই খুন খারাবি করে, ইউনির পরে এদের কাছে তাহলে কি আশা করা যাবে?

দয়া করে এইসব বন্ধ করার পক্ষে আওয়াজ তুলুন। বাংলাদেশের মত গরীব দেশ শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি afford করেনা। কেউ রাজনীতি করলে সেটা শিক্ষাঙ্গনের বাইরে করুক। শিক্ষাঙ্গনে শুধু যাদের শিক্ষাদীক্ষায় আগ্রহ আছে তাঁদেরই আসতে দিন। নাহলে দেশের উন্নতি জীবনেও সম্ভব না। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি না থাকলে একজন শিক্ষক তার সহকর্মীদের ছাত্র দিয়ে পেটানোর মত ঘৃন্য কাজের কথা চিন্তাও করতে পারতেন না। এজন্যই মনে হয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কথা বলা উচিৎ এখন। কারন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না দিলে এরা বড় হয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্যের মত আচরন করবে !!

অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাগাঃ প্রথম প্রতিক্রিয়া

উনার লিখা ভাল লাগলেও আমি ব্যক্তি জাফর ইকবালের ভক্ত না। কিন্তু উনার এই ছবিটা বুকের মধ্যে একটা খচাং বাজিয়ে দিল। তারপরেও এই স্ট্যাটাসটা দিব কিনা ভাবছিলাম। কারন কয়েক বছর আগে যখন এই একই ছাত্র সংগঠন জাবিতে শিক্ষকদের উপড়ে হামলা করেছিলো তখন অধ্যাপক জাফর ইকবাল কোন উচ্চবাচ্য করেন নি। বরং এটা যার প্ল্যানে হয়েছিলো উনি তার পক্ষেই ছিলেন।

হায়রে শিক্ষকতা পেশা!! একজন উপাচার্য নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিজেরই সহকর্মীদের মার খাওয়ান, তাও আবার ছাত্র দিয়ে। উপাচার্য হবার জন্য একজন শিক্ষক এত নিচে নামেন কি করে? আজ নিজেকে চরম অপদার্থ মনে হচ্ছে শিক্ষক সমাজের একজন হবার কারনে। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমি যেই মানসিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করতে গিয়েছি শাবিপ্রবির উপাচার্য কোনভাবেই সেটাকে represent করেন না। আমি বলছিনা যারা আন্দোলন করছেন উনারা তুলসীপাতা। উনাদের মধ্যেও উপাচার্য হবারই লোভ রয়েছে। কিন্তু সেটাকে এভাবে দমন করতে হবে?!!

প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ছে একদিন জাবিতেও এইরকম আন্দোলন হয়েছিলো অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। আনোয়ার হোসেনও গদি আঁকড়েই ধরে রেখেছিলেন এবং আজকের এই অধ্যাপক জাফর ইকবাল তখন আনোয়ার হোসেনকে সাপোর্ট করেছিলেন। উনি তখন আন্দোলনকারীদের বেশ বাজে ভাষায়ই তিরস্কার করেছিলেন। উনার সেদিনকার আর আজকের নৈতিকতার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে মনে হয়। উনার সেদিনের কথাগুলো আজকে কেমন যেন উনাকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

তবে আজকেও অনেকে মনে করছেন উনাদের আজকের অন্যায়গুলো কাল উনাদের তাড়া করবেনা। জাবিতে সেদিন যেসব ছেলেমেয়েরা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পরামর্শে শিক্ষকদের উপড়ে হামলা করেছিলো তাদেরকে বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। দেখি এটার ফলাফল ভবিষ্যতে কি দাড়ায়?

Wednesday, August 19, 2015

অপেশাদারদের হাতে পেশাদার তৈরির দায়িত্ব দিয়ে লাভ কি?

বাংলাদেশ  ফুটবল ক্রিকেট সবকিছুতেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেখতে এবং ভাবতে ভালই লাগে। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলোও আবার গার্মেন্টস সেক্টরের মত হবেনা তো? RMG সেক্টরও তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছিলো, আমরাও তর তর করে খুশি হচ্ছিলাম। তারপরে কি হলো? ওই যে ভিডিও গেমসের মত ফটাং করে এক ধাক্কা। সমস্যাটা কোথায় ছিলো? সমস্যা ছিলো, আমরা শুধু RMG company গুলোর আগানোই দেখেছি আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছি। সাথে সাথে যে পারিপার্শ্বিক আরও অনেক কিছুর আগানো দরকার এবং সেই আগানোর কাজটা যে আমাদেরই করতে হবে সেটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম।

খেলাধুলার ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে মনে হচ্ছে। কাল অনুর্ধ ১৬ ফুটবল দল শিরোপা তুলল প্রথমবারের মত। গর্বের ব্যাপার। কিন্তু বাকি সবকিছু নিইয়ে কি গর্ব করা যাবে? যেমন, BTV তে খেলা দেখার পরে নিজেকে আমার আফ্রিকার জঙ্গলের কোন এক দেশের বাসিন্দা মনে হয়েছে। কালকের খেলা দেখে আমার পর্যবেক্ষনঃ

১) খেলায় ভারত গোল করে সমতা যখন আনে BTV তখন গ্যালারি দেখায় এবং গ্যালারিতে কে কে আছে তাদের নাম বলে। এইটাকে পাগলামি ছাড়া কি আর কিছু বলার সুযোগ আছে?
২) গ্যালারিতে বাফুফের কর্তাব্যক্তি বসে আছেন। এই ভদ্রলোক আমাদের ছোট দেশের অনেক বড় খেলোয়াড় ছিলেন। ক্যামেরা যখন তার দিকে ধরা হল উনি তখন সিগারেট টানছেন। উনার কি আদৌ কোন যোগ্যতা আছে এই ধরনের একটা প্রতিষ্টানের প্রধান হবার? আমার সন্দেহ আছে
৩) খেলার মাত্র কয়েক সেকেন্ডস বাকি। BTV তখন খেলা সম্প্রচার বাদ দিয়ে সেখ মুজিবের উপড় গান দেখানো শুরু করেছে। এইটা কোন ধরনের সভ্যতা আমার মাথায় ঢূকেনা। মানুষ যখন সর্বোচ্চ উত্তেজনায় খেলা নিয়ে তখন কি তাদের শেখ মুজিবের উপড় গান শুনতে ভাল লাগবে? আমার তো মনে হয়না প্রধানমন্ত্রীরও তা ভাল লাগবে। তাহলে এরা আসলে করছে কি? আমি জানিনা আওয়ামীলীগ কোনদিন বুঝবে কিনা, এরা এইসব করে আসলে শেখ মুজিবকে বার বার মেরে ফেলছে, মানুষের চোখে উনাকে আরও ছোট করে ফেলছে।
৪) ধারাভাষ্যকরঃ এরা দিন দিন আজীব চিড়িয়ায় পরিনত হচ্ছে। এদেরকে tainining এ পাঠানো হচ্ছেনা কেন? এরা তো দিনের পড় দিন জাতীয় লজ্জায় পরিনত হচ্ছে। এর আগে দেখেছিলাম শামীম চৌধুরী মাশরাফিকে দিয়ে ছুটির আবেদন করাচ্ছে। এইধরনের কাজগুলোকে হয়তো এখনো পাগলামি বলা যাবে, কিন্তু চলতে থাকলে কিছুদিন পরে মানুষ এগুলোকে অসভ্যতামি বলা শুরু করবে।

এখন বলেন খেলোয়াড়দের পেশাদার করে কি লাভ, যদি যারা খেলোয়াড় বানান তাদেরকে পেশাদার করা না যায়? আশা করছি খেলাধুলাটা RMG সেক্টরের মত হবেনা। সবদিক দিয়েই উন্নত হবে।

Wednesday, August 5, 2015

কি সুন্দর সন্মান শিক্ষকদের ! গালি দিবে কিন্তু সেটাকে গায়ে মাখানো যাবেনা, পাছে সন্মান নষ্ট হয় !!

আহা কি সুন্দর সন্মান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ! গালি দিবে কিন্তু সেটাকে গায়ে মাখানো যাবেনা, পাছে সন্মান নষ্ট হয় !!
_______________________________________________________

সন্মানিত সচিব মহোদয়রা যেভাবে শিক্ষকদের নিয়ে কথা বলছেন, সবিনয়ে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে আপনার সন্তানকে কেন বিদ্যাপীঠে পাঠান। শিক্ষকরা যদি এতই খারাপ প্রজাতির হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কেন এইসব শিক্ষকদের কাছে শিক্ষা নিয়েছিলেন? ধরলাম আপনি ভুল করেছেন, আপনার সন্তানদেরকেও কেন ভুল করাচ্ছেন?

আমি বুঝিনা দেশে সরকারটা আসলে কে চালায় বা বর্তমানে দেশে সরকার নামক বস্তুটির কোন ভূমিকা আছে কিনা। কিছু লোক অপদার্থের মত কথা বলছেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে একটা বিশাল জনগোষ্টীকে অপমান করে, সরকার নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।  সরকার তো ঘুমাচ্ছেই, তথাকথিত সুশীল সমাজের কাউকেও এইটা নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখলাম না। এটা আবারো প্রমান করে শিক্ষকরা আসলেই অবহেলিত এই সমাজে; মানুষ যে কোন মুখে আবার বলে শিক্ষকদের সন্মান আছে আমার মগজে তা ঢুকেনা।

সাভারে একটা PATC আছে, আমার এক বন্ধুর কল্যানে কয়েকবার ওখানে যাবার সুযোগ হয়েছিলো। ওইটার শান সৌকত দেখলে মনে হত এখানে ভালো শিক্ষা দীক্ষাই দেয়া হয়।  কিন্তু এখন তো দেখছি আমার ধারনা ভুল। ওখান থেকে একেকজন 'গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল' তৈরি হোন যাহারা কোন ব্যাপারে  ঠিকমত ব্যাখ্যাও দিতে পারেনা। শিক্ষকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বললেই টাকার প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন উনারা, কিন্তু টাকা চাইলে বলেন  সন্মান আছে টাকার দরকার কি; ভাবটা এমন যে শিক্ষকরা ভাত খায়না, উনাদের পেট ভরে আসমানি প্রক্রিয়ায়। আবার সন্মান চাইলে বলে তোমার বেতন স্কেলতো অনেক নিচের, তুমি কেন উপড়ে উঠতে চাও? (প্রমাণ warrant of precedence). একজন উপাচার্যকে একজন সচিবের নিচের ধাপে কোন বিবেচনায় রাখা হয়?

প্রায়ই যুক্তি দেয়া হয় শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি আছে। আরে বাপ রাজনীতি নাই কোথায়? আপনি সচিবের যেই পদখানায় বসে আছেন সেটা রাজনীতিরই ফসল। আপনার চেয়ে কম রাজনীতি করতে হয় শিক্ষকদের। আর যেটুকু করতে হয় সেটুকু আপনার বা সরকারের অব্যবস্থাপনার জন্যই করতে হয়। যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০-৮০% ছাত্র/ছাত্রী বা শিক্ষক ক্যাম্পাসে রাজনীতি চায়না। এরা ক্যাম্পাস রাজনীতিকে ঘৃনা করেন। কিন্তু ক্যাম্পাসে রাজনীতি জিইয়ে রেখেছে কে? হয় আপনাদের মত লোকজন বা সরকার। কই আপনাদের তো কোনদিন দেখিনি শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ করার উদ্যেগ নিতে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে আপনারা আরও বিভাজনের চেষ্টা করেন অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। 73 Act এর চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনরা তেমন কিছু করতে না পারলে বাকিগুলাতে যা করেন তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

Saturday, June 27, 2015

রমজানের নিয়মকানুন


আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে সংগৃহীতসন্দেহ হলে দয়া করে চেক করে নিবেন যারা জানেন তাদের সহিততবে বেশ অনেক খুঁটিনাটি বিষয়াদি আছে এখানে

ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

Tuesday, June 23, 2015

নতজানু সম্পর্কের অবসান চাই !


প্রথমেই বলে রাখি আমি ভারত বা পাকিস্তান কারোই বিরুদ্ধে নাআমি দুদেশের সাথেই ভাল সম্পর্কে বিশ্বাসী এবং সে সম্পর্কটা হবে মাথা উঁচু করে। অবশ্যই মাথা নিচু করে নয়। নতজানু ধরনের যেকোন সম্পর্কের বিরুদ্ধে আমি।

এইবার মূল প্রসঙ্গে আসি। অনেক জায়গায়ই দেখলাম যে মানুষ সুধীর সাহেবের উপর হামলার নিন্দা করছেন। করাটাই যৌক্তিক। আমিও করতাম। কিন্তু যে হামলাটাই হয়নি সেই হামলা নিয়ে কি করে নিন্দা জানাই? এবং নিন্দা জানানোর ভাষাটা কি হওয়া উচিৎ? ভারতের সাথে তুলনা করবোনা, তবে ভারত বাংলাদেশের মত ছোট দলের সাথে খেলার আগে কিরকম নোংরামিটা করেছিলো? রনবীর কাপুরের মত বড় মানুষরাও কিন্তু সেই নোংরামিতে সামিল হয়েছিলেন। সেটা কি আমরা ভুলে গেছি? উন্মুক্ত ইন্টারনেটের জমানায় সেটা ভোলা সম্ভব কি? সেজন্য ওইরকমই করতে হবে তাও ঠিক নয়। কিন্তু সমর্থকদের এইরকম উন্মাদনা পৃথিবীতে নতুন নয়।

কাউকে কাউকে দেখলাম সুধীর সাহেবের উপড় কথিত হামলাকারীদের জারজ সন্তান বলছেন ! কেমনে সম্ভব? Have you lost your mind? বাংলা মায়ের কাজকর্মকেই তো অবৈধ করে দিলেন ! কার জন্য করলেন? ভারত মাতার জন্য? সাবাস ! তো এই কাজগুলো ভারতে গিয়ে করলে ভাল হয়না? মোদী সাহেব তো আপনাদের মত মানুষদের জন্য দরজা খুলে রেখেছেন। ওপাড়ে গিয়েই হামাঘুড়ি দেন দয়া করে; না পারলে যেই বাংলা মা আপনাকে হামাঘুড়ি দেয়া শিখিয়েছে তার জন্য কথা বলতে শিখুন। তাও না পারলে মুখটা বন্ধ রাখবেন দয়া করে।

যেসকল মহান ব্যাক্তিরা ভারত প্রেমে অন্ধ হয়ে নিজের মায়ের সন্তানদের জারজ বলে গালি দিতে পারেন তাদের আসলে বাংলাদেশে থাকা উচিৎ না। আপনাদের মত উঁচু মানসিকতার লোকদের স্থান বাংলাদেশের মত ছোট দেশে হতে পারেনা। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ব্রিটিশ সমর্থকরা শুধু ব্রিটেনে ই নয়, সারা পৃথিবীতে গিয়ে ঝামেলা করেন। হাজারো উদাহরণ আছে তার। কিন্তু সেজন্য কোন ব্রিটিশ নিজেদের জারজ বলেনা।

আমাদের দেশে একটা সময় পাকপ্রেমীদের নিয়ে ঝামেলা হতো, আজও হয়। এইসব পাকপ্রেমিরা এখনো অখণ্ড পাকিস্তানদের স্বপ্ন দেখেন। ওদেরকে আমরা কথায় কথায় গালি দেই। আমার মনে হয় এইসব ভারতপ্রেমিদের নিয়েও ভাবার সময় এসেছে। এদের লক্ষণও ভালোনা। এরা কি চায় সেটা বোঝা দরকার। হতে পারে পাকপ্রেমিদের মত এরাও গালি পাবার যোগ্য। কারন ইদানীংকালে নীতিনির্ধারকদের কাজকর্ম খুব একটা ভাল মনে হয়না। একজন অনেক বড় নেতা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশে ভারত বিরোধীদের জায়গা নাই। উনাকে এখনো কেন ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়নি তা আমার মাথায় ধরেনা। আবার প্রধানমন্ত্রী কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে যেতে পারেন কিন্তু ভারতের সময় যেতে পারেন না - - - এইটাও আমার মাথায় ধরেনা।

সবশেষে আমার ভয় হয় এইভাবে কতদিন নুয়ে থাকা সম্ভব? পায়ে ব্যাথা শুরু হয়ে যাবেনা?

Saturday, May 9, 2015

বিশ্বায়নের যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক recruitment !


বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্র/ছাত্রীদের বিভিন্ন মন্তব্য দেখছি শিক্ষকদের সম্পর্কে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের মন্তব্যগুলোই বেশি নজর কারে; যেহেতু আমি নিজেও এদের কাউকে কাউকে ক্লাসে পেয়েছি এরা কখন কি ধরনের মন্তব্য করতে পারে তার সাথে আমি কিছুটা পরিচিতও বটে ওদের অনেক ক্ষোভের সাথে আমি সহমর্মী অবস্থায় থাকলেও বলবো ছাত্র/ছাত্রীরা যেন নিজেদের সংবরন করে, কারন আমি মনে করি শিক্ষাগুরুর বিরুদ্ধে কথা বলার মধ্যে কোন অর্জন নাই, বরং বর্জন আছে চলুন নিজেকে দিয়েই উদাহরণ দেই; আমি আপনাদের যা পড়াতে পেরেছি, আপনারা অনেকেই হয়তো তার চেয়ে বেশি জানতেন কিন্তু এটাও মনে রাখবেন আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি হয়তো আমার সাধ্য টা আপনার চেয়ে অনেক কম তাই বলে আমার নামে চারটা খারাপ কথা বলা আপনার জন্য শোভনীয় হবেনা এতে মানুষ আপনাকে সঠিকভাবে চিনতে পারবেনা মনে রাখবেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু শিক্ষকরাই শিখান না, আরও অনেকে অনেক কিছু শিখায় এবং সেটাকেই সামগ্রিক শিক্ষা বলে আমি আশা করছি আপনাদের সামগ্রিক শিক্ষার লেবেলটা অনেক উঁচু থাকবে

ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশের ধরনের সাথে আমি একমত না হলেও ওদের অনেক কথার পিছনে যুক্তি আছে বলে মনে করছি বর্তমান জাবি প্রশাসন ফিন্যান্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে যে ধরনের মানসিকতার/বিবেচনার পরিচয় দিয়েছেন, উনাদের কপাল ভালো যে জাবি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার নামকরা যেকোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের নিয়োগ নিয়ে তুলকালাম বেধে যেত ওই নিয়োগের পড়ে বর্তমান উপাচার্য মহোদয়কে ঠিক কথায় কাজে মিলাতে পারিনি আমার অত্যন্ত খারাপ লেগেছে এই কারনে যে বর্তমান উপাচার্য মহোদয়কে কাছ থেকে দেখেছি এবং উনি এইধরনের কিছু করবেন নিজের ইচ্ছায় বা অন্যের চাপে তা আমি ভাবিনি কোনদিন উপাচার্য মহোদয় চলে যাবেন একটা নির্দিষ্ট সময় পড়ে, কিন্তু বাকি সব একই থেকে যাবে, ক্ষতগুলো দিনে দিনে আরও অনেক বড় হবে একদিন উপাচার্য মহোদয় অবসরে চলে যাবেন, ক্ষতগুলো তখনো থেকে যাবে তো উনি যখন পিছন ফিরে এতগুলো বড় বড় ক্ষত দেখবেন তখন উনার কেমন লাগবে তা আমার খুব জানতে ইচ্ছে করবে !

BBA পড়ার সময় একজন স্যার বলেছিলেনপারলে অন্যের উপকার করবেন, ইচ্ছে না হলে করবেন না কিন্তু কোনভাবেই কারো ক্ষতি করবেন না আরেকজন স্যার বলেছিলেন, ‘সমুদ্রের মত বিশাল হতে প্রথমজনের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি এখনো, কিন্তু পরেরজনের কথাটা কিভাবে পালন করি? কারন আমি তো পুকুরে থাকি, আমার আশেপাশে সবাই আরও ছোট পুকুর থেকে উঠে এসে বড় পুকুরে আসার আনন্দে উদ্ভটের মত লাফাচ্ছে !!

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...