হায়রে বাঙ্গালী !! এরা আবেগীই থেকে গেলো। সবাই আবেগী হয়ে মজা নিচ্ছেন।
আরে ভাই ছাত্রলীগ কে দোষ কেন দিচ্ছেন? ছাত্রদল থাকলে কি এর থেকে ভিন্ন কিছু হত? অবশ্যই না। শাবিপ্রবিতে হয়েছে কিনা জানিনা, অন্যান্য ইউনিগুলোতে ছাত্রদলের কাহিনীও একই রকম ছিল যখন তারা ক্ষমতায় ছিল। ওহ আচ্ছা, শিক্ষক লাঞ্ছিত করেনি এত বেশি? হা হা হা …… দিন দিন আগাচ্ছিনা আমরা সবাই, আরেকবার আসতে দিন না ক্ষমতায়। মূল পার্থক্যটা হল ক্ষমতা। যখন যেই দল ক্ষমতায় থাকেন তখন তাদের দল/লীগ এইসব সুসংবাদগুলো দেয়। তাই যদি দোষ কাউকে দিতে হয় সেটা ওই ক্ষমতা বা ক্ষমতার উৎস বা ক্ষমতা তৈরির প্রসেসটাকে দেন।
যারা ছাত্রলীগ/দল করে তারাও ছাত্র হিসেবেই ইউনি তে আসে। এদেরকে লীগ/দল বানানো হচ্ছে কেন? এরা না পড়তে আসে ইউনিতে? তাহলে এদেরকে লাঠিয়ালি করার সুযোগ কেন দেয়া হচ্ছে? কারন ক্ষমতাশীলদের এদের দরকার হয় মাঝে মাঝে। এইসব ক্ষমতালোভিদের জন্যই এইসব মেধাবী ছেলেমেয়েগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর ক্ষমতাসীনরা যুক্তি দেখান ছাত্র রাজনীতি দরকার আছে। ৫২/৬৯/৭১/৯০/২০০৭-৮ এ এদের ভূমিকার কারনে দেশ বাঁচতে পেরেছে। বড়ই কঠিন যুক্তি, আপাত দৃষ্টিতে ভাঙা মুশকিল। তাই হয়তো সবাই চুপ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা কি এখনো ৭১ এ আছি? আমাদেরকে কি আরও যুদ্ধ করতে হবে? তাহলে এদেরকে যুদ্ধবস্থায় রেখে লাভ কি? এদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়াড় সময় কি এখনো আসেনি? আর রাজনীতি করতে হলে সেটা শিক্ষাঙ্গনে কেন? ইউনিতে এরা আসে মাত্র ৪-৫ বছরের জন্য। এই সময়েই কি রাজনীতি করতে হবে? তাও আবার শিক্ষক ছাত্র সবাইকে মেরে কেটে? এরা ইউনিতেই খুন খারাবি করে, ইউনির পরে এদের কাছে তাহলে কি আশা করা যাবে?
দয়া করে এইসব বন্ধ করার পক্ষে আওয়াজ তুলুন। বাংলাদেশের মত গরীব দেশ শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি afford করেনা। কেউ রাজনীতি করলে সেটা শিক্ষাঙ্গনের বাইরে করুক। শিক্ষাঙ্গনে শুধু যাদের শিক্ষাদীক্ষায় আগ্রহ আছে তাঁদেরই আসতে দিন। নাহলে দেশের উন্নতি জীবনেও সম্ভব না। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি না থাকলে একজন শিক্ষক তার সহকর্মীদের ছাত্র দিয়ে পেটানোর মত ঘৃন্য কাজের কথা চিন্তাও করতে পারতেন না। এজন্যই মনে হয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কথা বলা উচিৎ এখন। কারন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না দিলে এরা বড় হয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্যের মত আচরন করবে !!
No comments:
Post a Comment