ফেডারেশন নিয়ে যদিও আমার কোন উচ্চাশা নাই, তারপরেও উনাদের একটা কথা ভালো লেগেছে যে উনারা মাল সাহেবের সাথে বসবেন না। উনারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসতে চান। কোন একটা পত্রিকায় দেখেছিলাম বেতন স্কেল পাস হবার আগে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী উনাদের সময় দেননি। অবাক লেগেছে। দেশের সবচেয়ে মেধাবী লোকগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার মত কিছু সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বের করতে পারলেন না !! উনার চরিত্রের সাথে ঠিক যায়না (উনাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিলো বলেই বলছি) ।
আশা করছি এইবার উনার কিছু সময় হবে। উনার সরকারের সময়ের যাবতীয় কার্যকলাপ আলোচনা করলে বুঝা যায় শেষ সিদ্ধান্তটা উনার কাছ থেকেই আসে। মাল সাহেব বা নাহিদ সাহেব দের আসলে তেমন বেশী দৌড়ানোর সুযোগ নাই। প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেই মাল সাহেব বেমালুম ভুলে গেলেন শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার কথা। এইটা তো আর এমনি এমনি হয়নি। উপর মহলের সবুজ সংকেত নিশ্চয়ই ছিলো।
আশা করছি শিক্ষকদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হবে, উনি বুঝতে পারবেন শিক্ষকদের যন্ত্রনাগুলো, এবং কিছু সবুজ সংকেত লাল ও করে দিবেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো বুঝতে পারবেন, এরশাদকে মানুষ স্বৈরাচার বলার পরেও ভোট দেয়, কারন এরশাদ সরকারি কর্মচারী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছিলেন। আমি দেখেছি ওইসব কর্মচারিরা এখনো এরশাদকে সেজন্য সন্মান করেন। আজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটা বড় সেক্টরকে অসন্তুষ্ট করে প্রধানমন্ত্রীর কোন অর্জন হবেনা। উনার ক্ষমতায় থাকা হয়তো এই কারনে বিঘ্নিত হবেনা। কিন্তু উনি কি সন্মানটা পাবেন?
No comments:
Post a Comment