Wednesday, September 2, 2015

অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাগাঃ প্রথম প্রতিক্রিয়া

উনার লিখা ভাল লাগলেও আমি ব্যক্তি জাফর ইকবালের ভক্ত না। কিন্তু উনার এই ছবিটা বুকের মধ্যে একটা খচাং বাজিয়ে দিল। তারপরেও এই স্ট্যাটাসটা দিব কিনা ভাবছিলাম। কারন কয়েক বছর আগে যখন এই একই ছাত্র সংগঠন জাবিতে শিক্ষকদের উপড়ে হামলা করেছিলো তখন অধ্যাপক জাফর ইকবাল কোন উচ্চবাচ্য করেন নি। বরং এটা যার প্ল্যানে হয়েছিলো উনি তার পক্ষেই ছিলেন।

হায়রে শিক্ষকতা পেশা!! একজন উপাচার্য নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিজেরই সহকর্মীদের মার খাওয়ান, তাও আবার ছাত্র দিয়ে। উপাচার্য হবার জন্য একজন শিক্ষক এত নিচে নামেন কি করে? আজ নিজেকে চরম অপদার্থ মনে হচ্ছে শিক্ষক সমাজের একজন হবার কারনে। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমি যেই মানসিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করতে গিয়েছি শাবিপ্রবির উপাচার্য কোনভাবেই সেটাকে represent করেন না। আমি বলছিনা যারা আন্দোলন করছেন উনারা তুলসীপাতা। উনাদের মধ্যেও উপাচার্য হবারই লোভ রয়েছে। কিন্তু সেটাকে এভাবে দমন করতে হবে?!!

প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ছে একদিন জাবিতেও এইরকম আন্দোলন হয়েছিলো অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। আনোয়ার হোসেনও গদি আঁকড়েই ধরে রেখেছিলেন এবং আজকের এই অধ্যাপক জাফর ইকবাল তখন আনোয়ার হোসেনকে সাপোর্ট করেছিলেন। উনি তখন আন্দোলনকারীদের বেশ বাজে ভাষায়ই তিরস্কার করেছিলেন। উনার সেদিনকার আর আজকের নৈতিকতার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে মনে হয়। উনার সেদিনের কথাগুলো আজকে কেমন যেন উনাকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

তবে আজকেও অনেকে মনে করছেন উনাদের আজকের অন্যায়গুলো কাল উনাদের তাড়া করবেনা। জাবিতে সেদিন যেসব ছেলেমেয়েরা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পরামর্শে শিক্ষকদের উপড়ে হামলা করেছিলো তাদেরকে বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। দেখি এটার ফলাফল ভবিষ্যতে কি দাড়ায়?

No comments:

Post a Comment

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...