শিক্ষামন্ত্রী বললেন যে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল এখনি দেয়া যাবেনা। সময় লাগবে। কত সময় লাগবে পাঞ্জেরী? শিক্ষকরা কি এই দাবিটা আজকেই প্রথম তুললেন? উনারা না আলাদা বেতন স্কেল দেয়ার ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসেছিলেন? তো এই ওয়াদা ভঙ্গের দায়ে যদি সমস্ত শিক্ষক একযোগে আওয়ামীলীগ বর্জনের ঢাক দেয় তাহলে কি হবে? শিক্ষামন্ত্রীর জ্ঞ্যানের অভাব আছে কিনা জানিনা, তবে রাজনৈতিক জ্ঞান আছে বলেই মনে করছি। উনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে আশা করছি উনি বুঝবেন যে একজন শিক্ষক অনেক জনকে আওয়ামীলীগ থেকে দুরে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। তো এই muliplier effect টা আওয়ামীলীগের জন্য শুভকর হবে কি? উনি তো তখন মন্ত্রীই থাকবেন না, এইসব বুলি আওড়াবেন কি করে? তাই শিক্ষকদের প্রাপ্য সন্মানটা দেয়া উনার জন্য বা সরকারের জন্য win-win solution. সরকার এটা যত দ্রুত বুঝবেন ততই মঙ্গল হবে উনাদের এবং জাতির জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সেনাবাহিনীকে আলাদা বেতন স্কেল দেয়া হলো। এইটা কি নির্বাচনী ওয়াদায় ছিলো? আমি জানিনা। আলাদা বেতন স্কেল দিয়েছে তা নিয়ে আমার ক্ষোভও নাই। দিতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো শিক্ষকদের ব্যাপারে কেন এত অবহেলা? সেনাবাহিনীর entry level requirement হলো SSC বা HSC. বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা হলো bachelor degree. কিন্তু গুটিকতক ব্যতীত সব ইউনি শিক্ষকদের entry level requirement হলো minimum master degree. কেউ কেউ বিদেশী master বা PhD নিয়েও চাকরিতে জয়েন করেন। তাহলে কোন বিবেচনায় বেশি যোগ্যতার লোকগুলোকে কম মূল্যায়ন করা হচ্ছে? এই দুটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হবার আগেই তো শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল হওয়া উচিৎ ছিলো। তাই নয় কি?
তাহলে কি বুঝতে হবে সরকার আসলে মেধার জোরে কাজ না করে যেখানে ক্ষমতা আছে তার প্রেক্ষিতে কাজ করেন? অথচ এখন পৃথিবীজুড়ে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসছেন। PhD ডিগ্রীধারীদের অনেক সরকার নিজেদের উপদেষ্টা বানান যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।
No comments:
Post a Comment