Wednesday, September 30, 2015

পুরনো দিনের গান, আজো ভরে মন প্রান !

গ্রামে বড় হয়েছি। বিনোদন বলতে ছিলো রেডিও শোনা এবং বেশিরভাগ সময় বাংলা সিনেমার গানই শুনতাম। অনেকের গান ভালো লাগতো, তবে এন্ড্রু কিশোরের গানগুলো মনে হতো অন্য দুনিয়ার। আমার এখনো তা মনে হয়, উনি এতো ভালো করে গায় কি করে?! বাড়ি ছেড়ে স্কুল হোস্টেলে উঠার পর ধুমাইয়া বাংলা সিনেমা দেখতাম, একা একা বা বন্ধুদের সাথে। হোস্টেল সুপার স্যার (মরে গেছেন, আল্লাহ বেহেশত নসীব করুন) এর strict নিষেধ থাকার পরেও উনাকে ফাকি দিয়ে রাতে সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। খাটের উপড়ে লেপ মুড়ি দিয়ে রেখে রেডিও ছেড়ে মুভি দেখতে গিয়েছিলাম, স্যার এসে চেক করার সময় ওটা দেখে ভেবেছিলেন আমি ঘুমিয়ে আছি। ধরাও পড়েছিলাম শেষ পর্যন্ত। স্যার মারি মারি করেও আমাকে মারেন নি কোনদিন। কিন্তু আমার সাথে থাকা নিজের ছেলেকে মেরেছিলেন। স্যার মারার জন্য বিখ্যাত ছিলেন কোন অন্যায় পেলে। আমার বড় ভাইকেও মেরেছিলেন সেইরকম। আমি বেচে গেছিলাম কোনমতে। স্কুল শেষ, বাংলা সিনেমা দেখার পালাও শেষ। স্কুল লাইফের পরে কয়টা বাংলা সিনেমা দেখেছি হাতে গোনা যাবে।

এন্ড্রু কিশোরকেও আর শোনা হচ্ছিলোনা ওই মাঝে মাঝে ইত্যাদি অনুষ্টান বাদে। কিন্তু ভালো লাগাটা ছিলো। গতকাল Youtube এ কি করে যেন একটা লিংক আসলো বাংলা সিনেমার গানের। দেখলাম; মনে হয় পুরনো ভালোলাগাটা জেগে উঠেছিলো; আরও বেশ অনেকগুলো গান ই দেখলাম। বেশিরভাগই এন্ড্রু কিশোরের। কেমন যেন একটা ভালোলাগা অনুভব করলাম। কোন রকম বিরক্তি অনুভব করলাম না। দেশ থেকে দুরে আছি বলে কি এমন হলো? কি জানি .................. তবে সেই যুগের গানগুলো আজকের rap বা metal এর চেয়ে অনেক ভালো ছিলো মনে হয়। অন্তত চিৎকার ছিলোনা ওই গানগুলোতে, কণ্ঠের কারুকাজ ছিলো।

[বিঃ দ্রঃ -- গানের বিশারদ নই, তাই গানের কারুকাজ অতটা বুঝিনা, শুধু বুঝি শুনতে কেমন লাগে। no hard feelings, please]

Wednesday, September 23, 2015

জাবি, জানবিবি না প্লীজ


আমি অনেকদিন ধরেই লিখবো ভাবছিলাম এই ব্যাপারটা নিয়ে, কিন্তু লেখা হয়ে উঠেনি। আজ অনেককে ফেসবুকে এটা নিয়ে লিখতে দেখলাম। তাই ভাবলাম নিজের মতটাও একবার দেই। হয়তো অনেকের সাথে মিলবেনা, আগেই দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অতি প্রিয় এক জায়গার নাম। এখানে আমাদের জীবনচরিত্রের এতো কিছু ঘটেছে যে  তা বলে বা লিখে শেষ করা যাবেনা। তাই এইটাকে নিয়ে আমাদের আবেগও সীমাহীন। কতভাবেই না দেখি এই অতিপ্রিয় ক্ষুদ্র জায়গাটিকেঃ প্রথম প্রেম, প্রথম স্বাধীনতা, প্রথম গোঁফে তা দিয়ে রাত ২-৩টা অব্দি আড্ডা দেয়া………… ইত্যাদি।

এই প্রিয় জায়গাটিকে সংক্ষেপে জাবি বলেই চিনি আমরা। নিজেরা ডাকিও এই নামে। কিন্তু ইদানিং এটাকে জানবিবি বলা শুরু হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যাপারটা অনেকটা হিপ হপ কালচারের মত। কিন্তু যারা ডাকেন এই নামে তাদের কাছে এইটা নাকি ইমোশনের বহিঃপ্রকাশ। হতে পারে; কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু, আমরা কি সব ইমোশন সব জায়গায় বা সব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করি? উত্তর হলো ঃ না। উদাহরন দেখি চলুন।

প্রথম ভালবাসার মানুষটিকে যখন আপনি বিয়ে করেন, তখন কেমন লাগে? জীবনটাই অন্যরকম বেহেশত মনে হয়। বউকে তখন কত নামেই না ডাকেন, যেমন, জান, পাখি, সোনা ইত্যাদি। কিন্তু কয়দিন এই নামে বউকে মানুষের সামনে ডেকেছেন? আমার অভিজ্ঞতা বলে, আমরা যখন বউকে মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই, তখন খাটি বাংলাতেও অস্বস্তি লাগে। আমরা পরিচয় করাই এইভাবেঃ উনি আমার ওয়াইফ।

তারমানে কি দাড়াচ্ছে? আপনি আপনার ইমোশন নিয়ে আপনার বউকে পরিচয় করান না। তাহলে জাবিকে পরিচিত করার জন্য কেন আপনার অন্য নাম লাগবে? জাবি নামটা যথেষ্ট নয় কেন? এই জায়গায় আপনার ইমোশন কেন জাবির পরিচয় কেড়ে নিতে চাইছে? একবার চিন্তা করে দেখবেন প্লীজ। আপনারা অনেকে এই ক্যাম্পেইনটা শুরু করলে একসময় হয়তো জানবিবি নামটা established হয়ে যাবে, কিন্তু হারিয়েও যাবে অনেক কিছু। আমার অনুরোধ হল, চলুন জাবিকে জাবিই বলি বিশ্বদরবারে। বাকি নিজেদের মধ্যে কি বললাম তাতো ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ

Tuesday, September 22, 2015

তাহলে কি শিক্ষামন্ত্রীরও শিক্ষার অভাব আছে? মাল সাহেবকে জিজ্ঞেস করতে হবে !!


শিক্ষামন্ত্রী বললেন যে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল এখনি দেয়া যাবেনা। সময় লাগবে। কত সময় লাগবে পাঞ্জেরী? শিক্ষকরা কি এই দাবিটা আজকেই প্রথম তুললেন? উনারা না আলাদা বেতন স্কেল দেয়ার ওয়াদা করে ক্ষমতায় এসেছিলেন? তো এই ওয়াদা ভঙ্গের দায়ে যদি সমস্ত শিক্ষক একযোগে আওয়ামীলীগ বর্জনের ঢাক দেয় তাহলে কি হবে? শিক্ষামন্ত্রীর জ্ঞ্যানের অভাব আছে কিনা জানিনা, তবে রাজনৈতিক জ্ঞান আছে বলেই মনে করছি। উনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে আশা করছি উনি বুঝবেন যে একজন শিক্ষক অনেক জনকে আওয়ামীলীগ থেকে দুরে থাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। তো এই muliplier effect টা আওয়ামীলীগের জন্য শুভকর হবে কি? উনি তো তখন মন্ত্রীই থাকবেন না, এইসব বুলি আওড়াবেন কি করে? তাই শিক্ষকদের প্রাপ্য সন্মানটা দেয়া উনার জন্য বা সরকারের জন্য win-win solution. সরকার এটা যত দ্রুত বুঝবেন ততই মঙ্গল হবে উনাদের এবং জাতির জন্য।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সেনাবাহিনীকে আলাদা বেতন স্কেল দেয়া হলো। এইটা কি নির্বাচনী ওয়াদায় ছিলো? আমি জানিনা। আলাদা বেতন স্কেল দিয়েছে তা নিয়ে আমার ক্ষোভও নাই। দিতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো শিক্ষকদের ব্যাপারে কেন এত অবহেলা? সেনাবাহিনীর entry level requirement হলো SSC বা HSC. বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষেত্রে তা হলো bachelor degree. কিন্তু গুটিকতক ব্যতীত সব ইউনি শিক্ষকদের entry level requirement হলো minimum master degree. কেউ কেউ বিদেশী master বা PhD নিয়েও চাকরিতে জয়েন করেন। তাহলে কোন বিবেচনায় বেশি যোগ্যতার লোকগুলোকে কম মূল্যায়ন করা হচ্ছে? এই দুটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হবার আগেই তো শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল হওয়া উচিৎ ছিলো। তাই নয় কি?

তাহলে কি বুঝতে হবে সরকার আসলে মেধার জোরে কাজ না করে যেখানে ক্ষমতা আছে তার প্রেক্ষিতে কাজ করেন? অথচ এখন পৃথিবীজুড়ে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসছেন। PhD ডিগ্রীধারীদের অনেক সরকার নিজেদের উপদেষ্টা বানান যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়।

Monday, September 14, 2015

Its all fu****g BUSINESS !

বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশী সংস্কৃতি আবারো প্রমান করলো ভদ্র এবং মেধাবী লোকজনের জায়গা বাংলাদেশ নয়। রাস্তায় যখন ছাত্ররা নামলো এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়সাওয়ালারা নড়াচড়া করা শুরু করলো তখন ভ্যাট প্রত্যাহার হয়ে গেলো। কত দ্রুত কাজ হয়। মাত্র ৩টা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত ছুটির মাত্র কয়েকদিন আগে ছুটি ঘোষনা করেছে। এতেই সরকারের গদি নড়ে গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে অভিনন্দন !

অন্যদিকে ৩৭ টা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অচল এবং সেখানে শিক্ষকদের দাবি চলছে আজ কয়েকমাস ধরে। এতে কারো কিছুই যায় আসেনা। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই সরকারির চেয়ে কম যোগ্যতার শিক্ষক আছেন। মাল সাহেবের মত মালাতগুলোও তাদের ক্ষেত্রে 'জ্ঞানের অভাব' বলার সাহস পাননি। তাহলে কি আমাদেরও রাস্তায় নামতে হবে? নাহলে কেউ শুনবেনা?

আমার সন্দেহ আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক হতে পারবে কিনা। কারন এখানে এখন বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধির ব্যবসা করতে আসবেন। উনাদের একটা অনুরোধ করব-- দয়া করে যেসব ছাত্র পড়িয়েছেন তাদের সম্পর্কে এবং আপনি কি পড়িয়েছেন তা নিয়ে একবার ভাবুন। আপনার বেশিরভাগ ছাত্ররাই আজ আপনার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। এর একটা মানে হতে পারে আপনি যা পড়িয়েছেন তা ভুল ছিলো। কারন আপনি এমন কিছু শিক্ষিত অসভ্য তৈরি করেছেন যারা প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গায় বসে ভাবে আপনি তাদের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছেন। একবারও ভাবেনা আপনার শিখানো শিক্ষা দিয়েই সে আজকে এমন জায়গায় যেতে পেরেছে যেখান থেকে আপনাকে অত্যন্ত তুচ্ছ মনে হয়।
কষ্টও লাগছে, কিন্তু বুঝতে পারছি এইজন্যই শত শত মেধাবী লোকজন বিদেশে এসে আর দেশে ফিরেনা। অন্য দেশের সেবা করে। আমি অতি মেধাবীদের কথা জানিনা। তবে মেধাবীরা আজীবন একটা কষ্ট নিয়ে বেচে থাকে। তাদের প্রত্যেকটা পাওয়ার পিছনে একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে থাকে। প্রতিটা achievement এর পরেই তারা ভাবে এইটা যদি নিজের দেশের জন্য করতে পারতাম !

আমি একজন ভালো চাকুরে হতে পারতাম কর্পোরেট সেক্টরে। এখন নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে এই ভেবে যে কেন এই পেশায় আসলাম। আমার পরিবার চায়নি কোনদিনই। পরিবারের কাছে হাতজোড় করে মাফ চাইবার সময় এসেছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলন প্রসঙ্গে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে কিন্তু ভাংচুর করছেনা। কেউ তার লাখ টাকার গাড়ি নিয়ে বের হয়ে শূন্য হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছেন না। ব্যাপারটা প্রশংসনীয় এবং শিক্ষনীয়।

সাথে আরও একটা ব্যাপার আছে শিখার। তা হলো ঢাকা শহরে এতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি যারা দিয়েছিলেন তারা অনেকেই বোকাদের স্বর্গে বসবাস করেন ! long term plan নামক কোন কিছু এরা জীবনে কোনদিন শুনেনি। এখান থেকে অবশ্য আমাদের মহামান্য সচিবদের ( যারা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আছেন বা ছিলেন) কর্মদক্ষতা সম্পর্কে একটা আন্দাজ করা যায়।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের দাঁত এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী সমীপে

ফেডারেশন নিয়ে যদিও আমার কোন উচ্চাশা নাই, তারপরেও উনাদের একটা কথা ভালো লেগেছে যে উনারা মাল সাহেবের সাথে বসবেন না। উনারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসতে চান। কোন একটা পত্রিকায় দেখেছিলাম বেতন স্কেল পাস হবার আগে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী উনাদের সময় দেননি। অবাক লেগেছে। দেশের সবচেয়ে মেধাবী লোকগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার মত কিছু সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বের করতে পারলেন না !! উনার চরিত্রের সাথে ঠিক যায়না (উনাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিলো বলেই বলছি) ।

আশা করছি এইবার উনার কিছু সময় হবে। উনার সরকারের সময়ের যাবতীয় কার্যকলাপ আলোচনা করলে বুঝা যায় শেষ সিদ্ধান্তটা উনার কাছ থেকেই আসে। মাল সাহেব বা নাহিদ সাহেব দের আসলে তেমন বেশী দৌড়ানোর সুযোগ নাই। প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসেই মাল সাহেব বেমালুম ভুলে গেলেন শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার কথা। এইটা তো আর এমনি এমনি হয়নি। উপর মহলের সবুজ সংকেত নিশ্চয়ই ছিলো।

আশা করছি শিক্ষকদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হবে, উনি বুঝতে পারবেন শিক্ষকদের যন্ত্রনাগুলো, এবং কিছু সবুজ সংকেত লাল ও করে দিবেন। প্রধানমন্ত্রী হয়তো বুঝতে পারবেন, এরশাদকে মানুষ স্বৈরাচার বলার পরেও ভোট দেয়, কারন এরশাদ সরকারি কর্মচারী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছিলেন। আমি দেখেছি ওইসব কর্মচারিরা এখনো এরশাদকে সেজন্য সন্মান করেন। আজকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটা বড় সেক্টরকে অসন্তুষ্ট করে প্রধানমন্ত্রীর কোন অর্জন হবেনা। উনার ক্ষমতায় থাকা হয়তো এই কারনে বিঘ্নিত হবেনা। কিন্তু উনি কি সন্মানটা পাবেন?

Saturday, September 12, 2015

আইনের প্রয়োগে আইন করা দরকার

জনগনের টাকার কি যাচ্ছেতাই ব্যবহার ! এই জন্য কি আমি ট্যাক্স দেই? এইভাবে মানুষকে কোনভাবেই পিটাতে পারেনা আইন প্রয়োগকারী বাহিনী। যেখানে স্যার স্যার বলার কথা সেখানে গালি নিত্য নৈমিত্তিক সন্মোধন ! [ভিডিও নেট থেকে পাওয়া]

 

শিক্ষা সেক্টরের ভন্ডবাবাদের থেকে সাবধান করবে কে?

দয়া করে দায়িত্বশীল interpretation করবেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, আপনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয় অবশ্যই।
_______________________//____________

চাকরি মাত্র কয়েক বছরের। কাজ করেছি অনেক বড় বড় শিক্ষক, সচিব/আমলা, অনেক নীতিবান শিক্ষক, অনেক মিডিয়াবাজ শিক্ষক ইত্যাদির সঙ্গে। অনেককেই দেখেছি শিক্ষা এবং শিক্ষার অধিকার ও পরিবেশ নিয়ে অনেক লম্বা লম্বা কথা বলতে। ছাত্রজীবন থেকেই দেখেছি। ভাবতাম এরা আসলেই ভাল মানুষ। কিন্তু বড় হয়ে এদের যখন লম্বা লম্বা এর জায়গায় হাম্বা হাম্বা করতে দেখেছি তখন থেকে নিজেকে অনেক ভাল মানুষ হিসেবে গণ্য করছি। কারন আমার চেয়েও নষ্ট মানসিকতার লোকজন আছেন। আমি প্রতিদিনই ফেসবুক বা পত্রিকার পাতা খুলে আশা করি উনারা শিক্ষা ও শিক্ষা নিয়ে আজকের এই অসভ্যতামি নিয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু নাহ, উনাদের মুখে ফেভিকল দেয়া আছে। দুর্দান্ত কলাম লেখকদের কলম থেমে গেছে, গলাবাজদের গলা শুকিয়ে গেছে, লম্বা লম্বার জায়গায় আবার সেই হাম্বা হাম্বা। আবারো প্রমান পেলাম মানুষ প্রজাতির মধ্যে আমার চেয়েও কম নৈতিকতার মানুষ আছেন।
________________________//____________

একটা গল্প মনে পড়ে গেলো এই প্রসঙ্গে। সুইডেন দিয়ে আমার বিদেশ গমন শুরু। প্রথমবার দেশের বাইরে আসা, তাও আবার হঠাত করেই। সুইডেনের সুন্দর সুন্দর মেয়েদের দেখতাম ওরা আমাদের মত লোকজনদের পাত্তাই দেয়না। কিন্তু আফ্রিকার কাল্লুমামাদের সাথে সেইরকম খাতির। চিন্তায় পড়লাম, কারন আমার মনে হতো আফ্রিকারগুলোর চেয়ে তো আমরা সুন্দর। তখনো আসলে সাদাকালোর আসল পার্থক্যটা বুঝতে পারিনি। একদিন এক মুরুব্বীকে অন্য এঙ্গেল থেকে ব্যাপারটা জিজ্ঞেসই করে ফেললাম। তো উনি যা বললেন ঃ
সুইডিশ মেয়েরা নিজেদের বাইরে আমাদের মত হলুদ চামড়ার লোকদেরকে বেশ পছন্দ করতো এবং বিয়েও করতো। কিন্তু বিয়ের পরে আমাদের চেহারা বদলে যেত, আমরা ওইসব মেয়েদের গায় হাত ও তুলতাম। কিন্তু একটা সুইডিশ মেয়েতো ভাবতেও পারেনা যে স্বামী গায়ে হাত তুলবে। ডিভোর্স অনিবার্য। কিন্তু আমরা কেন হাত তুলতাম গায়ে? আমরা আসলে পাসপোর্ট পাবার পরে ইচ্ছে করেই হাত তুলতাম যাতে সে আমাদের ছেড়ে যায় এবং আমরা দেশ থেকে আমাদের আসল বউকে নিয়ে আসতে পারি। এইরকম ঘটনা ঘটতে থাকলে সুইডিশ মেয়েরা বুঝে যায় আমরা আসলে মিছকা শয়তান, আমাদের বিশ্বাস করলে ঠকার সম্ভাবনা আছে। কে এত ঝামেলায় যায়? এরচেয়ে কালুগুলাই ভালো। ওরা ভন্ডামি করেনা, আগে থেকেই জানা যে এরা বিশ্বাস করার মত না। সুতরাং এখানে পেইন কম।
___________________________//___________
কিছু কি মিলে যায় আজকের বাস্তবতার সঙ্গে? কিছু কি শিখার আছে এই ঘটনা থেকে?

Wednesday, September 2, 2015

শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষকদের ধাক্কা দিচ্ছেন !!

উনি একজন ভিসি যার সামনে একজন নারী কলিগ হ্যারাসড হন এবং উনি নিজে আরেকজন শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন। কি বলবো বুঝতে পারছিনা। জাবিতেও দেখেছিলাম এইরকম তামাশা। ধীরে ধীরে দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় তামাশায় পরিনত হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করে দিলেই হয় যদি উপাচার্যই ঠিকমত নিয়োগ না দিতে পারেন।

এই ভিডিওটা সেইসব আজীবদের জন্য উতসর্গ করলাম যারা প্রায়ই বলেন দেশের কোন ইউনি কেন র‍্যাঙ্কে নাই !!! 


বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দৈন্যতায় ভুগছে নাকি?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবসময়ই দেশকে ভাল কিছু করার প্রেরনা যোগায়। এই প্রেরনা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। আমি কি করে জানি তা? কিছুটা দেখেছি, কিছুটা ইতিহাস পড়ে জেনেছি। বাংলাদেশ এই বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনেক ঋনী। কিন্তু ইদানীংকালের ঘটনাপঞ্জি দেখে মনে হচ্ছে দিন বদলে গেছে; এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরং বাংলাদেশের কাছে ঋনী হয়ে যাচ্ছে। উদাহরন? 

১। অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ (ঢাবির একটা মেয়ে হলে মধ্যরাতে পুলিশ ঢোকায়)
২। অধ্যাপক আনোয়ার (জাবিতে ভিসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং একটা কলঙ্ক)
৩। ফরাসউদ্দিন (শিক্ষকদের পিঠে অপদার্থ সিল লাগিয়ে দিলেন)
৪। অধ্যাপক আমিনুল হক (শাবিপ্রবিতে গডফাদার হয়ে গেছেন)
এগুলো আমি যখন থেকে শিক্ষা ও রাজনীতি বুঝতে শিখেছি তখন থেকে দেখা অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বলা। এই সময়ে ঢাবি অসংখ্য ভাল কাজ করেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

অপ্রাসঙ্গিক বটে, কিন্তু এই ভদ্রমহিলার মত অপদার্থ আমি কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ছেনা। দয়া করে ভিডিওটা দেখবেন। আমি ঠিক বুঝতে পারিনা উনি কোথা থেকে ভদ্রতা শিখেছেন। উনার প্রশ্নগুলো দেখেন বিনা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে!

ভিডিওর লিঙ্কঃ 

শাবিপ্রবি নিয়ে তামাশা চলছে; রাজনৈতিক তামাশা

ফাজলামির একটা সীমা সবসময়ই থাকতে হয়, নাহলে সীমাহীনতার অপরাধ অনেক পাপ ঢেকে আনে। শাবিপ্রবি গড়ছেন শাবিপ্রবির শিক্ষকরা, উনারা এতদিনে ওখানকার লতাপাতাগুলোকেও চিনেন বলে আমি মনে করি। কিন্তু কোন বিবেচনায় সেখানে বাহির থেকে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয় তা আমার মাথায় ঢোকেনা। যেসব লোকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের চালিকাশক্তি, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টাকে সচল রাখেন তাদের সচল রাখতে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয় বাহির থেকে যে কিনা ভার্সিটিটাকে ঠিকমত চিনেন ই না। এইসব আজীব যুক্তিগুলো কর্তাব্যক্তিদের দেয় কে? ওদের চাকরি কেড়ে নেয়া উচিত। জাবিতেও এইরকম একটা নোংরামি করা হয়েছিল। সেটার ফল ভাল হয়নি এবং দুঃখের বিষয় ওখান থেকে কেউ কোন শিক্ষাও নেয়নি।

শাবিপ্রবিতে কি কোন সিনিয়র শিক্ষক নাই যিনি উপাচার্য হতে পারেন? তাহলে কেন এই নোংরামিগুলো করেন নীতি নির্ধাকেরা?

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি আসল সমস্যা, ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল নয়

হায়রে বাঙ্গালী !! এরা আবেগীই থেকে গেলো। সবাই আবেগী হয়ে মজা নিচ্ছেন।

আরে ভাই ছাত্রলীগ কে দোষ কেন দিচ্ছেন? ছাত্রদল থাকলে কি এর থেকে ভিন্ন কিছু হত? অবশ্যই না। শাবিপ্রবিতে হয়েছে কিনা জানিনা, অন্যান্য ইউনিগুলোতে ছাত্রদলের কাহিনীও একই রকম ছিল যখন তারা ক্ষমতায় ছিল। ওহ আচ্ছা, শিক্ষক লাঞ্ছিত করেনি এত বেশি? হা হা হা …… দিন দিন আগাচ্ছিনা আমরা সবাই, আরেকবার আসতে দিন না ক্ষমতায়। মূল পার্থক্যটা হল ক্ষমতা। যখন যেই দল ক্ষমতায় থাকেন তখন তাদের দল/লীগ এইসব সুসংবাদগুলো দেয়। তাই যদি দোষ কাউকে দিতে হয় সেটা ওই ক্ষমতা বা ক্ষমতার উৎস বা ক্ষমতা তৈরির প্রসেসটাকে দেন।

যারা ছাত্রলীগ/দল করে তারাও ছাত্র হিসেবেই ইউনি তে আসে। এদেরকে লীগ/দল বানানো হচ্ছে কেন? এরা না পড়তে আসে ইউনিতে? তাহলে এদেরকে লাঠিয়ালি করার সুযোগ কেন দেয়া হচ্ছে? কারন ক্ষমতাশীলদের এদের দরকার হয় মাঝে মাঝে। এইসব ক্ষমতালোভিদের জন্যই এইসব মেধাবী ছেলেমেয়েগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর ক্ষমতাসীনরা যুক্তি দেখান ছাত্র রাজনীতি দরকার আছে। ৫২/৬৯/৭১/৯০/২০০৭-৮ এ এদের ভূমিকার কারনে দেশ বাঁচতে পেরেছে। বড়ই কঠিন যুক্তি, আপাত দৃষ্টিতে ভাঙা মুশকিল। তাই হয়তো সবাই চুপ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা কি এখনো ৭১ এ আছি? আমাদেরকে কি আরও যুদ্ধ করতে হবে? তাহলে এদেরকে যুদ্ধবস্থায় রেখে লাভ কি? এদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়াড় সময় কি এখনো আসেনি? আর রাজনীতি করতে হলে সেটা শিক্ষাঙ্গনে কেন? ইউনিতে এরা আসে মাত্র ৪-৫ বছরের জন্য। এই সময়েই কি রাজনীতি করতে হবে? তাও আবার শিক্ষক ছাত্র সবাইকে মেরে কেটে? এরা ইউনিতেই খুন খারাবি করে, ইউনির পরে এদের কাছে তাহলে কি আশা করা যাবে?

দয়া করে এইসব বন্ধ করার পক্ষে আওয়াজ তুলুন। বাংলাদেশের মত গরীব দেশ শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি afford করেনা। কেউ রাজনীতি করলে সেটা শিক্ষাঙ্গনের বাইরে করুক। শিক্ষাঙ্গনে শুধু যাদের শিক্ষাদীক্ষায় আগ্রহ আছে তাঁদেরই আসতে দিন। নাহলে দেশের উন্নতি জীবনেও সম্ভব না। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি না থাকলে একজন শিক্ষক তার সহকর্মীদের ছাত্র দিয়ে পেটানোর মত ঘৃন্য কাজের কথা চিন্তাও করতে পারতেন না। এজন্যই মনে হয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কথা বলা উচিৎ এখন। কারন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না দিলে এরা বড় হয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্যের মত আচরন করবে !!

অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাগাঃ প্রথম প্রতিক্রিয়া

উনার লিখা ভাল লাগলেও আমি ব্যক্তি জাফর ইকবালের ভক্ত না। কিন্তু উনার এই ছবিটা বুকের মধ্যে একটা খচাং বাজিয়ে দিল। তারপরেও এই স্ট্যাটাসটা দিব কিনা ভাবছিলাম। কারন কয়েক বছর আগে যখন এই একই ছাত্র সংগঠন জাবিতে শিক্ষকদের উপড়ে হামলা করেছিলো তখন অধ্যাপক জাফর ইকবাল কোন উচ্চবাচ্য করেন নি। বরং এটা যার প্ল্যানে হয়েছিলো উনি তার পক্ষেই ছিলেন।

হায়রে শিক্ষকতা পেশা!! একজন উপাচার্য নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিজেরই সহকর্মীদের মার খাওয়ান, তাও আবার ছাত্র দিয়ে। উপাচার্য হবার জন্য একজন শিক্ষক এত নিচে নামেন কি করে? আজ নিজেকে চরম অপদার্থ মনে হচ্ছে শিক্ষক সমাজের একজন হবার কারনে। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমি যেই মানসিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করতে গিয়েছি শাবিপ্রবির উপাচার্য কোনভাবেই সেটাকে represent করেন না। আমি বলছিনা যারা আন্দোলন করছেন উনারা তুলসীপাতা। উনাদের মধ্যেও উপাচার্য হবারই লোভ রয়েছে। কিন্তু সেটাকে এভাবে দমন করতে হবে?!!

প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ছে একদিন জাবিতেও এইরকম আন্দোলন হয়েছিলো অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। আনোয়ার হোসেনও গদি আঁকড়েই ধরে রেখেছিলেন এবং আজকের এই অধ্যাপক জাফর ইকবাল তখন আনোয়ার হোসেনকে সাপোর্ট করেছিলেন। উনি তখন আন্দোলনকারীদের বেশ বাজে ভাষায়ই তিরস্কার করেছিলেন। উনার সেদিনকার আর আজকের নৈতিকতার মধ্যে অনেক তফাত রয়েছে মনে হয়। উনার সেদিনের কথাগুলো আজকে কেমন যেন উনাকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

তবে আজকেও অনেকে মনে করছেন উনাদের আজকের অন্যায়গুলো কাল উনাদের তাড়া করবেনা। জাবিতে সেদিন যেসব ছেলেমেয়েরা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পরামর্শে শিক্ষকদের উপড়ে হামলা করেছিলো তাদেরকে বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। দেখি এটার ফলাফল ভবিষ্যতে কি দাড়ায়?

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...