Friday, March 16, 2018

পর্ব দুইঃ অধ্যাপক জাফর ইকবালঃ আমার মুরীদীয় অভিজ্ঞতা


আমার নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে অধ্যাপক জাফর ইকবাল এর মুরীদদের সাথে। ইনারা বেশ শিক্ষিত মুরীদ ই। একজন ছিলেন আমার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়েরই সিনিয়র। আমি অধ্যাপক ইকবাল এর একটা কলাম নিয়ে কথা বলছিলাম যে এই কলামটা কিভাবে দেশের হাজারো শিক্ষককে অপমান করে। আমার সিনিয়র সেখানে এসে হাজারো ঝাঝালো যুক্তি দেখালেন প্রায় ১৫-২০ টা কমেন্ট করে। আমি উনাকে বার বার ই বলছিলাম যে আপনি কলামটা পড়েন। অত্যন্ত সুখের বিষয় হলো যে উনি ১৫-২০টা কমেন্ট (যেগুলোতে আমাকে যা তা ভাষায় আক্রমন করেছেন) করার পড়ে কলামটা দয়া করে পড়েছেন। পড়ার পরে আমাকে বললেন যে আমার কথায় যুক্তি আছে। এবং এর পরে উনি আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিলেন। এই ভদ্রলোক অনেক বড় পদে অনেক বড় এক প্রতিষ্টানে চাকরি করেন। ইনার এটিটিউড দেখুনঃ ইনি কলামটা ভালো করে পড়েন ই নি, কিন্তু পীরবাবা লিখেছেন তাই এক বাক্যে গিলেছেন। নিজের গাড়ের উপড় যে একটা মাথা আছে সেটা ভুলে গেছেন এবং  সমালোচনাকারীদের উপড় বরং হামলে পড়েছেন। অনেক সময় নেয়ার পরে যদিও বুঝেছেন পীরবাবা এইবার পুরো সঠিক বলেন নি, উনি সেটা হজম করতে পারেন নি। এদের কাছে অন্যের মান সম্মান কোনো ব্যাপারই না !

এইরকম আরো অনেক মুরীদ দেখার সৌভাগ্য (?!) হয়েছে আমার। এক মুরীদকে দেখলাম অধ্যাপক ইকবাল কে নিয়ে সে কট্টরদের চেয়েও বড় কট্টর। ইনি শাবির ভিসিকে বিচি পর্যন্ত বলতে ছাড়েন নি; কারন সেই অধ্যাপক জাফর ইকবাল; অধ্যাপক ইকবালের সাথে ভিসির কি ঝামেলা হয়েছিলো যেনো তখন। ইনারা কিন্তু ভয়াবহ শিক্ষিত লোকজন। ইনাদের শিক্ষা নিয়ে কথা বলা বোকামি হবে। কিন্তু উনাদের মানসিক বিবর্তন নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। ইনারা গনতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন, প্রগতি নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু গনতন্ত্র বলতে বুঝেন যে শুধু উনারাই কথা বলবেন বা উনাদের কোনো সমালচনা করা যাবেনাসহ একনায়কতন্ত্রের সকল নিয়মাবলী। ইনারা ভুলে যান যে জাফর ইকবাল আজকের জাফর ইকবাল হতে পেরেছেন শুধুমাত্র অন্যের সমালোচনার মধ্য দিয়ে গেছেন বলেই। একটা পেপার পাবলিশ করতেও একজন অথরকে অপরিচিত রিভিউয়ারের কঠিন রিভিউ পার করে কোয়ালিটি নিশ্চিত করেই তা করতে হয়। কেউ যদি মনে করে যে আমি বেস্ট পেপার লিখেছি, আমাকে সমালোচনা বা রিভিউ করার কিছু নাই, তাকে দিয়ে কোনোদিনই তেমন ভালো কিছু হবেনা। তাই অধ্যাপক ইকবালের ফ্যানদের উনার সমালোচনা নিতে না পারার কারনটা আমি ঠিক বুঝে উঠিনা। এখানে বলে রাখি, অধ্যাপক ইকবাল নাস্তিক না আস্তিক এই ধরনের আলোচনাকে আমি সমালোচনা মনে করিনা। আমি মনে করি এটা কারো আলোচনার টপিকই হওয়া উচিৎ না। এটা পুরোই অধ্যাপকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

আরেক কিসিমের মুরীদ দেখলাম যারা দেশে এতো খুন খারাবি হবার সময় টের পায়নি, কিন্তু মুখচেনা কিছু লোক এই যেমন অধ্যাপক ইকবাল এর ঘটনার পরে বিশাল ইংরেজী স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো দুনিয়াকে জানানোর আপ্রান চেষ্টা করছেন যে বাংলাদেশ কিন্তু মৌলবাদীতে ভরে গেছে। ওহ আচ্ছা, উনাদের এতো ইনোসেন্ট ভাববেন না যে উনারা হয়তো বাংলায় লিখতে পারেন না। বাকিসব স্ট্যাটাস কিন্তু উনারা বাংলায়ই দেন। দরকার হলে হিন্দীটাও  বাংলায়ই লিখেন ইনারা। এদের সাথে জামাতীদের পার্থক্য কোথায়? জামাতীরা বাংলাদেশ নিয়ে যতসব খারাপ খবর আছে তা ইংরেজীতে দেয় এবং সবাইকে অনুরোধ করে শেয়ার করে বিদেশিদের দেখাতে। মজার ব্যাপার হলো উনারা দেশের ভালো নিউজগুলো কিন্তু বাংলায় দেয়! এতে বুঝা যায় এদের target audience কে বা কারা। ব্রিটিশরা আমাদের গোলামি শিখিয়ে নিজেরা সেটা ভুলে গেলেও আমরা এখনো গোলামিই করি; অন্তত ঐ ধরনের মানসিকতা লালন পালন করি। যেই দেশটা এতো কিছু দেয় তার পিছেই লেগে থাকি !!

আমাদের দেশে বেশ কয়েক ধরনের কট্টরবাদী আছেন। ধর্মীয় -  মুসলিম হিন্দু উভয়ই; রাজনৈতিক - বাচি/মরি, হয় আওয়ামীলীগ নাহয় বিএনপি; বিএনপি করি - শেখ মুজিব অবশ্যই খারাপ মানুষ ছিলেন; আওয়ামীলীগ করি - জিয়ার কোনো অবদানই নাই এই দেশে। আমার অভিজ্ঞতা বলে এইসব কট্টরবাদীরা আসলে কারো না, এরা শুধু নিজের স্বার্থে কাজ করে। এরা আজ একে ফাসায় তো কাল আরেকজনকে ফাসিয়ে দেয়। এদের একেকজন তেলের বা ঘৃনার খনি নিয়ে চলাফেরা করে; হয় তেলবাজি করে না হয় ঘৃনা ছড়িয়ে দেয়। কট্টরবাদীদের এই চেহারা শুধু আমাদের দেশেই না, বরং দুনিয়ার সবদেশেই এই রকম। তো এই যখন প্রেক্ষাপট, আরেক কট্টর গ্রুপ যোগ হলো অধ্যাপক ইকবালের মতো গুনীজনকে ঘিরে। আমার বিবেচনায় এই কট্টরবাদ না দেশের জন্য না অধ্যাপক ইকবালের জন্য শুভকর।

সংস্কৃতির দেউলিয়াপনা


আমার মনে হয় কি আমাদের বাংলা সিনেমা বা নাটকগুলোতে অনেক পরিবর্তন আনা দরকার। নাহলে বাঙ্গালী জাতির কপালে দুঃখ আছে। বাঙ্গালী যদিও মুখে বলে যে বাংলা সিনেমা দেখিনা কিন্তু আচার আচরন পুরোই বাংলা সিনেমার মতো। বুঝিনা কেমনে কি? উদাহরন দিমু?

ধরুন এক নায়িকা আর দুই নায়কের ছবিতে কি হয়? হয় সাইড হিরোকে কোনো কলংক দিবে অথবা তাকে মেরে ফেলবে সিনেমাতে। মেইন হিরোকে ওয়ান এন্ড ওয়ানলি করাই লাগবে। কোনোভাবেই সহাবস্থান দেখানো যাবেনা। কোনোদিনই এইরকম করা হয়না যে, সাইড হিরোও থাকলো, তারও অনেক যোগ্যতা আছে, কিন্তু নায়িকার কোনো কারনে সাইড হিরোকে ভালো নাই লাগতে পারে। কারন আমাদের দর্শক এটা মেনে নিতে পারেনা। তারা সবসময় একমুখী চিন্তা করে; নাকি এইসব দেখে দেখে একমুখী হয়ে গেছে?

একই সংস্কৃতি আছে আমাদের আচরনে। এই যেমন দুটো ঘটনা একসাথে ঘটলো - বস্তির আগুন আর নেপালে বিমান দুর্ঘটনা। নেপালের ঘটনায় মানুষ এতো বেশি আহত যে বেশিরভাগ মানুষ সেটা নিয়েই কথা বলছে। এর মানে এই না যে বস্তি পুড়ে যাওয়াতে তারা আনন্দ পেয়েছে। কিন্তু যারা বস্তির আগুন নিয়ে কথা বলছেন, তারা নেপালের ঘটনাকে খোচা দিয়েই শুরু করছেন। আরে ভাই, বাংলা সিনেমার মতো কেন করছেন? বস্তির আগুন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নেপালের ঘটনার দিকে বা ঐ ঘটনায় মানুষের অনুভুতির দিকে আঙ্গুল তুলতে হবে কেন? আপনি ভালো মানুষ, দুটো দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে আপনি সচেতন, তাই আপনি বাকিদের ও মনে করিয়ে দিচ্ছেন ব্যাপারটা। এটা অত্যন্ত ভালো। কিন্তু আপনার বাংলা সিনেমা ধরনের আচরন আপনাকে নিয়ে কনফিউজড করে দেয় - ভালো মানুষ না ভালো মানুষের অভিনয়?

Friday, March 9, 2018

অধ্যাপক জাফর ইকবাল এবং আমার ফেসবুক কানেকশনস

একটা পোষ্ট দিলাম, লোকজন কনফিউজড হয়ে আমাকেই কনফিউজড করে দিছে। তাই ভাবলাম এবার একটা কনফিউজিং পোষ্টই দেই। প্রসঙ্গ সমসাময়িকঃ অধ্যাপক জাফর ইকবাল। কয়েক পর্বে লিখবো। আমার ফিলিংস, আমার বোঝাপড়া। ভুল থাকতে পারে, গঠনমূলক আলোচনা স্বাগতম। এটিটিউড থাকলে দুরে থাকুন। আর মুরীদ হলে এই পাড়া মারাবেন না প্লীজ।

প্রথম পর্বঃ ফেসবুক কানেকশনশ
আমার ফেসবুকের কানেকশন এর সংখ্যা অল্প অল্প করে অনেকদুর চলে এসেছে। নিজের দেখেই বিরক্ত লাগে। তাই গত এক মাসে নতুন কারো ‘বন্ধু!’ হচ্ছিনা নিতান্ত পরিচিত না হলে। ভাবছি যারা অলরেডি ‘বন্ধু!’ তাদের আগে চিনে নেই। এই উদ্দেশ্য নিয়েই দেখলাম অধ্যাপক ইকবাল নিয়ে আমার ‘বন্ধুদের!’ কি ধরনের প্রতিক্রিয়া। প্রতিক্রিয়ার উপড় ভিত্তি করে আমার ‘বন্ধুদের’ এই কয়ভাগে ভাগ করা যায়।

জাফর বিরোধীঃ বাপরে, এরা সিক মানে অসুস্থ্য। এরা ফেসবুকের এখানে সেখানে গিয়ে নোংরামি করে। এদের কর্মকান্ড দেখে মনে হয় এদের অনেকেই অর্ধ বা অশিক্ষিত। শিক্ষিত লোকের সংখ্যাও কম না। তবে চেনা দায় মুখোশের কারনে। এদের কমেন্ট দেখলে মনে হবেনা বাংলাদেশে আছি। অথবা এই বাংলাদেশকে চিনিনা। এরা অসম্ভব টাইপের বর্বরতা দেখায়। এরা এদের ধর্মের সামান্য জ্ঞান বা অজ্ঞানতা নিয়ে একেকজনকে এখানে সেখানে নাস্তিক ঘোষনা করে। ব্যাপারটা উনারা উনাদের পেশার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো উনারা নাস্তিকতার জন্য মানুষের শাস্তি নির্ধারন করে। ধর্ম উনাদের সবচেয়ে প্রিয় হাতিয়ার যদিও এটা সম্পর্কে এদের আদৌ বাস্তবসম্মত জ্ঞান নাই। যেই ধর্মের প্রতিষ্টাতা নিজের পরিবারের লোকজনদের আজীবন অনুরোধ করে গেছেন ধর্ম মানার জন্য কিন্তু মানাতে পারেনি এবং মানাতে না পেরে কোনো ক্ষতিও করেন নি, সেই প্রতিষ্টাতার তথাকথিত অনুসারিরা তার নাম নিয়ে অন্যের মাথায় আঘাত করে।

জাফর ফ্যান না কিন্তু প্রগতিশীলঃ একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন উনারা। ‘একটা প্রতিক্রিয়া না জানালে কেমন দেখায়, তাই প্রতিবাদ করে গেলাম’ ধরনের। এতো বেশি আগ্রহ যদিও নাই।  

মিডিয়া পাগলঃ কিছুই জানেনা কিন্তু বিশাল একটা হৈ চৈ ফেলে দেয় এই ব্যাপার নিয়ে। ঘটনা বা ঘটনার মূল কিন্তু কিছুই বুঝেনা বান্দা। ফেসবুকেই পারলে এরে মারে তো ওরে ধরে। ইনারা একটার পর একটা স্ট্যাটাস দিয়ে যান নিজস্ব জ্বালাময়ীতা নিয়ে। স্ট্যাটাস দেয়ার পরে হয়তো নাক ডেকে ঘুমান। ঘুম থেকে উঠে কোন নেতা কি লিখেছন এই বিষয়ে সেটা শেয়ার করেন।

চুপচাপ ১: এরা কিছুই করছেনা। পছন্দ করছেনা যে একটা মানুষের উপড় এমন হোক, কিন্তু এই লোকটা বেশি বাইড়া গেছে বা আমার দলের বিরুদ্ধে বলে। সুতরাং নো কমেন্টস।  

চুপচাপ ২: এরা মজায় আছে। বেশ খুশি যে এই ঘটনা ঘটেছে, মুখোশ খুলে যাবে বলে কিছু বলেনা। কিন্তু ঘটনার মজা নিচ্ছে পুরোদমে। মাঝে মাঝে জাফর বিরোধী কমেন্টে লাইক দিয়ে আসে, তাও খুব সন্তর্পনে। ভাবে যে কেউ মনে হয় দেখেনা!

সমস্যার মূল দেখাঃ এরা জাফর বা অন্য কোনো ব্যাপার দেখেনা। এরা দেখে যে এই ঘটনাটা দেশের জন্য ভালো না, এটার মূল খুজে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ইনারা যথাসম্ভব বাংলায় ই লিখেন এই বিষয়ে, পাছে দেশের বদনাম হয়। এদের মধ্যে দল না ব্যক্তি কানা লোকজন কম বা থাকলেও ইনারা তার প্রভাবমুক্ত।

মুরীদে জাফরঃ ঐ যে প্রথম ক্যাটেগরি আছে না, এরা তাদের মতোই সিক। এরা অবশ্য শিক্ষিত সিক। এদের আচরন ভয়াবহ রকমের পেইনফুল কারন এরা একাধারে মুরীদে জাফর, মুক্তমনা, প্রগতিশীল ইত্যাদি ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এরা অধ্যাপক মহাশয়কে একেবারে একক দেবতা বানিয়ে ফেলেছে। এদের সাথে বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের এই বিষয়ের উপড় কাজকর্মের অনেক মিল আছে [আমি এটা নিয়ে বলছি পরে]।

এদের কাছে অধ্যাপক মহাশয় মাটিতে না বরং আকাশের অনেক উচুতে অবস্থান করেন, উনি সাধারন নাগরিকের মতো নন, উনি ই পুরো বাংলাদেশ। উনাকে কিছু বল্লেই ফাসি দিয়ে দিবে এমন একটা ভাব। অধ্যাপক ইকবাল সকল ধরনের সমালোচনার উপড়ে। উনারা তথাকথিত গনতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল। উনারা বলে থাকেন যে উনারা মুক্তমনের চর্চা করেন এবং অন্যের মতকে সম্মান করেন। কিন্তু বাস্তব হলো, উনারা অন্যের মতকে সম্মান তো দুরের কথা, যখন অধ্যাপক জাফর ইকবাল প্রসঙ্গ আসে, তখন অন্যকে কোনো মতই প্রকাশ করতে দিতে চান না। তখন ব্যাপারটা এমন দাড়ায় যে এইদেশে অধ্যাপক ইকবাল এবং উনার সমর্থকরা ই শেষ কথা। অন্য কারো কোনো অধিকার নাই। ইনাদের মন এতো মুক্ত যে ইনারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে যাতা বলে ফেলেন। কিন্তু ভুলে যান যে এটা ইসলাম না এবং এই ধর্মের বিলিয়ন অনুসারি আছেন যারা অন্যকে আঘাত করেন না। কিছু কিছু মুক্তমনাদের কাজ দেখে মনে হয়, ইসলাম কে গালি দেয়া হচ্ছে মুক্তমন থাকার একমাত্র বৈশিষ্ট। উনাদের এহেন কর্মকান্ড দেখে প্রশ্ন আসে জাফর ইকবাল আসলে কে?

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...