১।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করিনা ইসলাম কায়েমের জন্য ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম করার দরকার আছে। বরং এতে যারা মুসলিম না তাদেরকে অস্বীকার করার একটা প্রবণতা আছে। সেটা কতটা ইসলামিক আমি সেই সম্পর্কে জানিনা। তাই আমি ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে সবসময়। আমার মনে আছে নবীজি যখন মক্কার সাথে চুক্তি করেছিলেন তখন মক্কানরা উনাকে নবী মানতে নারাজ ছিলেন এবং উনার নামের সাথে উনি যে আল্লাহ এর রাসুল সেই অংশ বাদ দিতে বললেন। নবীর সাথীরা সেটা মানতে নারাজ ছিলেন এবং এক পর্যায়ে নবী নিজেই ওই অংশ কেটে দিয়েছেন। তো এখান থেকে কি শিক্ষা পাওয়া যায়?
২।
একটা রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কোন ধর্ম থাকলেই সেই রাষ্ট্রটা নষ্ট হয়ে যায় এমন কোন কথা নাই। পৃথিবীতে ৩০ বা তার চেয়ে কম দেশ আছে যাদের রাষ্ট্রধর্ম নাই। তাছাড়া বাকি সবারই তা আছে। তো এইসব দেশগুলোতে কি সংখালগুরা থাকেন না? থাকেন এবং বহাল তবিয়তেই আছেন। কেমনে বুঝলাম? নিজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। তাছাড়া এখন অনেক কে দেখছি ওইসব দেশে বসে ফেসবুক ফাটিয়ে ফেলতে বাংলাদেশে কেন ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হলো তা নিয়ে। উনারা পারলে দেশে এসে দেশের সবাইকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিয়ে যান। এমনভাবে কথা বার্তা বলেন যে মনে হয় এই দেশে কোন মানুষই থাকেন না; সব জানোয়ার থাকেন। এরা দেশে থাকতে বা দেশে আসলে বুক ফাটে তো মুখ ফুটেনা এইরকম আচরন করেন আর বিদেশে গেলে মুখ ফুটিয়ে দেশের মান সম্মানের বারটা বাজান। আজীবস সব চিড়িয়া এগুলো। কয়দিন আগে এই রকম এক পিস রে দেখলাম জার্মানি বসে ঢাকায় প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার আমন্ত্রন জানাতে। এদের কাছে সবিনয় আবেদন, দয়া করে বাংলাদেশ কে মাফ করে দেন। আপনাদের মত 'বাইরে বাঘ, ভিতরে বিড়াল' টাইপের মানুষদের বাংলাদেশ কে নিয়ে এতো চিন্তা না করলেও চলবে। দেশটা খারাপ আছে, তারপরেও ভাল আছি।
এইরকম পিস অবশ্য দিন দিন বাড়ছে এবং আজকাল হরহামেশাই দেখতে পাওয়া যায়। ব্রিসবেনে একাধিক বাঙ্গালীকে বলতে দেখলাম বাংলাদেশ আমাদের কি দিয়েছে? নিজ কানে শুনেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো। যেই লোক বাংলাদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে আজ অস্ট্রেলিয়াতে পিএইচডী করতে গিয়ে এই ধরনের কথা বলতে পারে, তার মত লোককে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে ভুল করেছে বলেই আমার মনে হয়।
৩।
আরেকটা প্রজাতি আছে যারা বারবার বলছে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হয়েছে, এখন কি চুরি থামবে, ধর্ষন থামবে, রিজার্ভ এর ফেরত যাওয়া টাকা ফিরে আসবে, বা তাসকিন কি ফিরে আসবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাইরে, কোথাকার পানি কোথায় নিয়ে যান? ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম করার সাথে এগুলোর সম্পর্ক কি? খালি খালি কেন মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করেন? আপনার হয়তো অনেক ভক্ত আছে, আপনি এইরকম দায়িত্বহীন লিখার পরে যদি আপনার ভক্তরা তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দায়িত্বহীন আচরন করলে তার দায়িত্ব কি আপনি নিবেন? তাছাড়া আপনার কি মনে হয়না আপনি ইসলাম ধর্মের উপড় একটু বেশিই নির্ভর করছেন সেইসব মানুষের জন্য যারা এখনো ঠিকমত ইসলাম কে বুঝেই না? আবার, অমুসলিমদের দ্বারা কৃত অপরাধগুলোর তাহলে কি হবে? নাকি আপনি বলতে চাইছেন যে অপরাধ শুধু মুসলিমরাই করেন?
তাই চলুন বাস্তবে আসি। ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখি। অন্যায়কে অন্যায়ের জায়গায় রাখি। নিজের ধর্ম নিজের মত করে পালন করি এবং সকল অন্যায়ের ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে প্রতিবাদ করি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করিনা ইসলাম কায়েমের জন্য ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম করার দরকার আছে। বরং এতে যারা মুসলিম না তাদেরকে অস্বীকার করার একটা প্রবণতা আছে। সেটা কতটা ইসলামিক আমি সেই সম্পর্কে জানিনা। তাই আমি ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে সবসময়। আমার মনে আছে নবীজি যখন মক্কার সাথে চুক্তি করেছিলেন তখন মক্কানরা উনাকে নবী মানতে নারাজ ছিলেন এবং উনার নামের সাথে উনি যে আল্লাহ এর রাসুল সেই অংশ বাদ দিতে বললেন। নবীর সাথীরা সেটা মানতে নারাজ ছিলেন এবং এক পর্যায়ে নবী নিজেই ওই অংশ কেটে দিয়েছেন। তো এখান থেকে কি শিক্ষা পাওয়া যায়?
২।
একটা রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কোন ধর্ম থাকলেই সেই রাষ্ট্রটা নষ্ট হয়ে যায় এমন কোন কথা নাই। পৃথিবীতে ৩০ বা তার চেয়ে কম দেশ আছে যাদের রাষ্ট্রধর্ম নাই। তাছাড়া বাকি সবারই তা আছে। তো এইসব দেশগুলোতে কি সংখালগুরা থাকেন না? থাকেন এবং বহাল তবিয়তেই আছেন। কেমনে বুঝলাম? নিজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। তাছাড়া এখন অনেক কে দেখছি ওইসব দেশে বসে ফেসবুক ফাটিয়ে ফেলতে বাংলাদেশে কেন ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হলো তা নিয়ে। উনারা পারলে দেশে এসে দেশের সবাইকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিয়ে যান। এমনভাবে কথা বার্তা বলেন যে মনে হয় এই দেশে কোন মানুষই থাকেন না; সব জানোয়ার থাকেন। এরা দেশে থাকতে বা দেশে আসলে বুক ফাটে তো মুখ ফুটেনা এইরকম আচরন করেন আর বিদেশে গেলে মুখ ফুটিয়ে দেশের মান সম্মানের বারটা বাজান। আজীবস সব চিড়িয়া এগুলো। কয়দিন আগে এই রকম এক পিস রে দেখলাম জার্মানি বসে ঢাকায় প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার আমন্ত্রন জানাতে। এদের কাছে সবিনয় আবেদন, দয়া করে বাংলাদেশ কে মাফ করে দেন। আপনাদের মত 'বাইরে বাঘ, ভিতরে বিড়াল' টাইপের মানুষদের বাংলাদেশ কে নিয়ে এতো চিন্তা না করলেও চলবে। দেশটা খারাপ আছে, তারপরেও ভাল আছি।
এইরকম পিস অবশ্য দিন দিন বাড়ছে এবং আজকাল হরহামেশাই দেখতে পাওয়া যায়। ব্রিসবেনে একাধিক বাঙ্গালীকে বলতে দেখলাম বাংলাদেশ আমাদের কি দিয়েছে? নিজ কানে শুনেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো। যেই লোক বাংলাদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে আজ অস্ট্রেলিয়াতে পিএইচডী করতে গিয়ে এই ধরনের কথা বলতে পারে, তার মত লোককে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে ভুল করেছে বলেই আমার মনে হয়।
৩।
আরেকটা প্রজাতি আছে যারা বারবার বলছে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হয়েছে, এখন কি চুরি থামবে, ধর্ষন থামবে, রিজার্ভ এর ফেরত যাওয়া টাকা ফিরে আসবে, বা তাসকিন কি ফিরে আসবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাইরে, কোথাকার পানি কোথায় নিয়ে যান? ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম করার সাথে এগুলোর সম্পর্ক কি? খালি খালি কেন মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করেন? আপনার হয়তো অনেক ভক্ত আছে, আপনি এইরকম দায়িত্বহীন লিখার পরে যদি আপনার ভক্তরা তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দায়িত্বহীন আচরন করলে তার দায়িত্ব কি আপনি নিবেন? তাছাড়া আপনার কি মনে হয়না আপনি ইসলাম ধর্মের উপড় একটু বেশিই নির্ভর করছেন সেইসব মানুষের জন্য যারা এখনো ঠিকমত ইসলাম কে বুঝেই না? আবার, অমুসলিমদের দ্বারা কৃত অপরাধগুলোর তাহলে কি হবে? নাকি আপনি বলতে চাইছেন যে অপরাধ শুধু মুসলিমরাই করেন?
তাই চলুন বাস্তবে আসি। ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখি। অন্যায়কে অন্যায়ের জায়গায় রাখি। নিজের ধর্ম নিজের মত করে পালন করি এবং সকল অন্যায়ের ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে প্রতিবাদ করি।