Tuesday, October 13, 2015

.............. মনটা বড়-ই উদাস .......!


১।
কিছু ঔষধ দরকার। আমি আমার শিক্ষক পরিচয়টা ভুলে যেতে চাই। শিক্ষকতায় এসে এতো অপমান সহ্য করতে হবে কোনদিন ভাবিনি। বিস্মিত চোখ/কান নিয়ে দেখছি/শুনছি, যেসব লোকজন শিক্ষক হবার যোগ্যতাই রাখতেন না তারা শিক্ষক হয়ে আজকে শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং হাজারো মেধাবী শিক্ষকদের অন্তহীন কান্নার কারন হয়ে উঠছেন। এবং তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যাকে বেশি শ্রদ্ধা করি সেই শেখ মুজিবুর রহমান কে আজ পেলে বলতাম আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন দেশটাকে স্বাধীন করে। আপনি তো নিজের জীবন দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে গেলেন, এখন আমরাও সেই পথে ............

২।
আজ বারবার ই মনে হচ্ছে ঠিকমত পড়ালেখা করে ভুল করেছি। সেকেন্ড ক্লাস পেয়ে শিক্ষক হলেই ভালো হতো। এইরকম মানসিক দহনটা থাকতো না তখন, কারন আমিও তখন রাজনীতিবিদ হতাম। আজকে কোথাকার কোন ফরাসউদ্দিন কি বলছেন তাতে আমার কিছু যেত আসতো না। নাহিদ সাহেব বা মুহিত সাহেবর কথা শোনার পর বলতাম, দলের নেতা বলেছে ঠিকই বলেছে। ভুলটা আমারই, লজ্জাও আমার ...............

৩।
শিক্ষকতা পেশাটাকে আসলেই ভালবাসি। কারন এই পেশায় থেকে কত মানুষের যে উপকার করতে পেরেছি বিনা স্বার্থে তা নিজেও জানিনা। কারো উপকার করার পর নিজেকে অত্যন্ত পবিত্র লাগতো এবং ওইটা নিয়েই বেচে থাকতাম। কোনদিন হিসেব করিনি কত টাকা পাই। তবে কেউ কোনদিন এইভাবে সরাসরি গায় পড়ে এসে অসম্মান করে যায়নি।

প্রত্যেক প্রথম ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইতাম কে কি হতে চায়। দেখতাম কেউ শিক্ষক হতে চায় কিনা। চাইলে উৎসাহ দিতাম। আর কোনদিন সেই উৎসাহ দিতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। যাদেরকে দিয়েছি, তাদেরকে বলছি, শিক্ষকতায় আসবেন না। বাঙ্গালি জাতি শিক্ষার মর্যাদা বুঝার মত শিক্ষিত হয়নি। এরা শিক্ষার মর্যাদাকে redefine করেছে। তাই নিরাপদ দুরুত্বে থাকবেন এদের কাছ থেকে। এরপরেও যদি আপনার এই পেশায় আসতে ইচ্ছে হয়, দয়া করে বাংলাদেশে তা করবেন না। আমেরিকায় মাষ্টার ডিগ্রী করতে চলে যান, ওখানকার ডিগ্রী দিয়ে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে যাবেন।

এই দেশটা ফরাসউদ্দিনদের দিয়ে যান দয়া করে। উনাদের এই দেশটাকে চুষে খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দেশে দয়া করে আপনি আপনার শুরুটা করবেন না। তাহলে আজকের এই আমাদের মত আপনাকেও ভাবতে হবে শিক্ষকতায় এসে ভুল করেছেন।

Saturday, October 3, 2015

শিক্ষামন্ত্রীর (বাংলাদেশ) শিক্ষার দৌড়

“পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা শতভাগ টাকা দেই। কিন্তু আমাদের ক্ষমতা শূন্য ভাগ। … একই শিক্ষক ক্লাসে শেখাতে পারেন না অথচ টাকা দিলে বাড়িতে এসে বুঝিয়ে দেন।” (বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী, ২।১০।২০১৫)
______________________________//_________//_______ !!

যেই লোকের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান নাই উনি চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে। আমি এতদিন শিক্ষকতা করার পরেও এখনো দেখিনি কোন ইউনি শিক্ষককে বাসায় গিয়ে পড়িয়ে আসতে, নাহিদ সাহেব কোথায় দেখলেন? উনার বাসায় কি কিছু চিড়িয়াখানা টাইপের ইউনি আছে নাকি? আমি কিন্তু এরপরেও নাহিদ সাহেবকে দোষ দিচ্ছিনা, বরং সহমর্মিতা প্রকাশ করছি উনার জন্য। 

আসলে নাহিদ সাহেবের দোষ দিয়ে কি লাভ? বান্দা নিজে তো আর ইউনিতে পড়েন নাই, ইউনি সম্পর্কে উনার ধারনা থাকবে কি করে? তারপরেও উনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মত একটা অতি গুরুত্বপূর্ন দপ্তর সামলান। এই মন্ত্রণালয় চালাতে গিয়ে উনি অনেক ইউনির অনুমতি দিয়েছেন। যেমন, উনার অনুমতি নিয়ে একজন অতি প্রভাবশালী  আওয়ামী নেতা (শিক্ষক নেতা) জামাতে ইসলামীর নেতাদের জন্য নিজের নামে ইউনির অনুমতি নিয়েছিলেন। পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছিলো এটা নিয়ে তখন। উনার সরকার উপরে উপরে জামাতরে ঘৃনা করলেও (করে কি?) তলে তলে নাহিদ সাহেবদের সাথে জামাতিদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই ইউনিতে পার্শ্ববর্তী একটা দেশের কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করা এক ভদ্রলোক চাকরি করতেন, উনাকে কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়েছে। এই ভদ্রলোককে কাজী নজরুল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভাইভা কার্ডই দেয়নি। কিন্তু উনি এখন জাবির শিক্ষক। নাহিদ সাহেবদের এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দেখার অভ্যাস। এখনো প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক উনি দেখেন নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্পর্কে উনি যথাযথ মন্তব্য করবেন কি করে? কেউ কি দয়া করে উনার ইমেইলে বা অন্য কোন উপায়ে ইউনি শিক্ষক সম্পর্কে কিছু প্রকৃত তথ্য পাঠাবেন? ভদ্রলোকের অনেক উপকার হবে। দয়া করে কালক্ষেপন করবেন না, তাহলে বাংলাদেশ আরেকটা 'মাল' পাবে। এক মালের যন্ত্রণায়ই অস্থির হয়ে আছি, আর দরকার নাইরে ভাই !!

বিধাতা সবাইকে জ্ঞানচক্ষু দান করুন, আমিন !!

Thursday, October 1, 2015

সরকারের practical class এবং একজন শিক্ষকের লজ্জা

একজন শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর সময় বইয়ের বাইরে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও অনেক কিছু বলেন। আমিও মাঝে মাঝে বলতাম। কিন্তু এখন দেখে খারাপ লাগছে আমার আর বর্তমান আওয়ামী সরকারের অভিজ্ঞতা একই রকম !!
___________________________---------______ .........................................

যেদিন BBA এর প্রথম ক্লাস ছিলো সেদিনই রানা স্যার পরীক্ষা নিলেন, বুজলাম বড্ড বেশি সিরিয়াস জায়গায় এসে পড়েছি। এর পরে দেখা হলো ব্যাচ ম্যানেজার শাহ আলম স্যারের সাথে। উনি অনেক কথা বললেন (স্যার মনে হয় এমনিতেও অনেক বেশি বলতেন আবেগী হয়ে)। তবে উনার একটা কথা আজীবন মনে রেখেছি। উনি বলেছিলেন, "পড়তে এসেছো, মন দিয়ে পড়। ভালো কিছু এখানে করতে পারলে আজীবন ওইটা নিয়ে চলতে পারবা। সুতরাং রাজনীতি করবানা। হলে গিয়ে দেখবা তোমাদের দুই এক ব্যাচ সিনিয়ররা muscle ফুলিয়ে চলছে, নিজেরে বস মনে করে তোমার উপড় কিছু অন্যায় অত্যাচারও করবে। কিন্তু চার বছর পরে চাকরি করতে গিয়ে দেখবা তুমি এদের অনেকের বস হয়ে গেছ।" 

স্যারের এই বানীই আমি আমার student দের সবসময় বলে এসেছি, যে রাজনীতি করতে চাইলে করবেন, কিন্তু সেজন্য আগে নিজেকে তৈরি করেন। ছাত্রজীবন রাজনীতির জন্য নয়। এদেরকে আমি বলতাম যে আগে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেন, তারপরে কথা বলেন, দেখবেন আপনার কথা মানুষ শুনছে। আমি শাহ আলম স্যারের কথা শুনলেও আমার সব student যে আমার কথা শুনেছে এমনটা নয়। তবে কেউ না কেউ তো মেনেছে, তাতেই আমি খুশি।

In a very unexpected way, বর্তমান সরকারের বর্তমান কর্মকান্ড আমার এই থিয়োরিটা বার বার prove করছে, এই যেমন গত কয়েকদিন ধরে তো অনবরতই করছে। কিছুদিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের student রা যখন আন্দোলন করলেন, পুলিশ কিন্তু এতো বেশি মারমুখী হয়নি। বরং কেবিনেট মিটিঙে সব সমাধান করে দিয়েছেন সরকার। কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছুরা যখন একটা চরম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, পুলিশ তাদের আন্দোলন করা শিখিয়ে দিলেন আচ্ছা মত। এদের দোষটা কোথায়? এদের বাপ মায়ের অনেক টাকা নাই? এদের বাপ মায়ের বড় বড় পজিশন নাই? তারমানে পজিশনই সব, সেটা নিজের হোক বা বাপ মায়ের হোক।

আমি চিন্তা করছি বর্তমান সরকার আমার থিওরির এইরকম সুন্দর practical class নেয়ার পরে আমি কি ক্লাসে গিয়ে আর এই থিওরি আওড়াতে পারবো? পারলেও কেমন যেন একটু লজ্জা লজ্জা লাগবেনা?

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...