Saturday, October 29, 2016

বিসিএস, পাল, এবং সমসাময়িক

আমি বিসিএস এ কোনদিন চেষ্টা করিনি, তাই এটা নিয়ে তেমন ভাল জানিনা। তবে ইদানিংকালে বিসিএসে প্রথম হওয়া এক পাল কে নিয়ে সেইরকম তামাশা চলছে। চলুন কিছু পালীয় বাৎচিত করি 
  • পাল যা লিখেছেন তা কোন সুস্থ্য মানুষের লিখার কথা না যদি না সে অসুস্থ্য হয়। এই অসুস্থ্যতা মানসিক হতে পারে, প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে, প্রতিহিংসামূলক হতে পারে, হতে পারে অন্য কিছু। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি নিশ্চিত ঢাবিতে এমনটা হয়না; তর্কের খাতিরে হলেও কোন একটা ব্যাপার এমন কদর্য ভাষায় উপস্থাপন করাটা সুস্থ্য মানসিকতার লক্ষন হতে পারে না।
কিন্তু পাল কে আজকের এই পাল বানিয়েছে কারা? 
  • এর মধ্যে আপনার আমার মত অসংখ্য লোকজন আছেন
  • আমি মেয়েদের সাথে উনার চ্যাট এর স্ক্রিনশট দেখেছি বেশ কিছু। আমি অত্যন্ত অবাক হয়েছি উনার মানসিক রোগের সকল আলামত দেখে। কিন্তু এর চেয়ে বেশি অবাক হয়েছি ওইসব মেয়েদের দেখে যারা এইরকম অসভ্যতামি সহ্য করেও উনার সাথে চ্যাট coninue করে গেছেন। আমার তো মনে হয়েছে অনেকে মেয়েরই উচিৎ ছিলো উনাকে সাথে সাথে ব্লক করে দেয়া যেমনটা উনি ছেলেদের  ক্ষেত্রে করে থাকেন। তাহলে উনাকে একা দোষ দিচ্ছি কেন? আপনি একটা পাগলা কুকুর পুষবেন, কিন্তু সেটা কামড়ালে আবার সেটাকেই দোষ দিবেন, এটা মনে হয়না তেমন বুদ্ধিমানের কাজ। 
  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতির বিবেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের নলেজ বেইজের লিড দেয় বিভিন্ন কারনে। জাতি ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্য চোখে দেখে, বিবেকীয় চোখে দেখে। তাই একটা পাগলা কুকুর রাস্তায় ঘেউ ঘেউ করলো আর ঢাবির মত প্রতিষ্টান সেটাকে লুফে নিয়ে ৫৭ ধারার মত একটা কালো ব্যাপারের বৈধতা দিবেন, এটাও আশা করিনি। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর আমাদের বস্তাপচা রাজনৈতিক নেতারা যারা নাকি একজন ভিসির গালে চড় মারে তার মধ্যে পার্থ্যক্য থাকেনা। ঢাবিতে যারা আছেন তারাও নিশ্চয়ই পড়েছেন কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে ... ... 

ভবিষ্যৎ কোনদিকে? 
  • পাল আসলে অতটা পরিচিত ছিলেন না এখন যতটা হলেন। আমি নিজেই কোনদিন এর নাম শুনিনি এর আগে। এমনকি পত্রিকায় কয়েকদিন নিউজ দেখেও আমি তা পড়িনি। কিন্তু অনেকদিন ধরে নিউজ হচ্ছিলো বিধায় পড়তেই হলো। তাহলে কি লাভ হলো? পালের নোংরা উদ্দেশ্যই কিন্তু সফল হলো। উনি নিজের এমনই পরিচিতি  চেয়েছিলেন হয়তো। কিছুদিন পরে দেশের পোলাপাইন এগুলো ভুলে আবারো তার কাছে বিসিএস নিয়ে পরামর্শ চাইতে গেলে উনি আবারো এমন নোংরামি করলে আমি অবাক হবোনা। ভাই রে, দেশের বেকারত্বের হারটা দেখুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন।
  • কিছুদিন পরে পালকে সংখ্যালগু ইস্যু বানিয়ে দিলেও আমি অবাক হবো না। সেটা দিয়ে আরও কিছু chaos তৈরি করা যাবে

দয়া করে অন্ধভক্তি থেকে বের হোনঃ 
  • আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের সবসময় বলেছি কারো অন্ধভক্ত না হতে। অন্ধতা নিজের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেয়। ছেলেমেয়েরা যদি বুজতো যে বিসিএস চেষ্টায় হয়, পালে বা অন্ধতায় নয়, তাহলে আজ পালের মত কাহিনী আমাদের দেখতে হতোনা।
  • অন্ধভক্তির কারনেই দেশে জঙ্গি হয়। ছোট ছোট ধর্মপ্রান লোকজনদের আনুগত্য পালদের মত কিছু নষ্ট মানুষ সন্ত্রাসবাদে পরিনত করে। তাই আমি সবাইকে বলি যে ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করুন, নিজে বুঝুন, তারপরে পালন করুন। কোন ধর্মই খারাপ কিছু বলেনা

প্রশ্ন করুনঃ 
  • কোন কিছু অন্ধের মত গিলবেন না দয়া করে। তাহলে আপনি না নিজের কাজে আসছেন না অন্য কারো
  • প্রশ্ন করুন নিজেকে, প্রশ্ন করুন নিজের আশপাশকে। প্রশ্ন করার মধ্যে কোন ক্ষতি নাই। 
  • নিজে নিজে প্রশ্নের উত্তর খুঁজেন। কোন বিশেষজ্ঞ, মুফতি, বা নেতার উপড় ভরসা করবেন না। আপনি unique, আপনার জীবনের বিভিন্ন ঘটনার সাথে উনাদের ঘটনার মিল নাও থাকতে পারে।

ভাল থাকুন, সবাই

Monday, October 10, 2016

মাশরাফি, নাসির, পাপন, এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট


প্রথমেই বলে নেই আমি ক্রিকেট বিশারদ নই, তবে ক্রিকেট বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফ্যান। ফ্যান হিসেবে অন্য কোন দেশের বেলায় না হলেও দেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি। তার উপড় ভিত্তি করেই এটা লিখছি; ভুল হলে শুধরে দিবেন দয়া করে।

নাসির কে যে খুব একটা চিনতাম এমনটা নয়। একদিন মাশরাফিকে বলতে দেখলাম যে এই ছেলেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। যেহেতু ম্যাশ এর উপড় অগাধ আস্থা আমাদের, তাই তার কথা শুনার পরে নাসিরকে নিয়ে সজাগ থাকতাম। আসলেই ভাল খেলে ছেলেটা। ম্যাশ ভুল বলেন নি।

কিন্তু নাসির কে যেভাবে ক্রিকেট রাজনীতির স্বীকার হতে হয়েছে তা দেখে খুব বিরক্ত হয়েছি। হঠাৎ একদিন পাপন বরাতে জানতে পারলাম নাসিরের দলে সুযোগ না পাবার অন্যতম একটা কারন হচ্ছে তার অনেকগুলো মোবাইল ফোন এবং অনেকগুলো বান্ধবী। অনেকগুলো বান্ধবী রাখা কতটা নৈতিক, সে বিবেচনায় আমি যাচ্ছিনা। আমি বরং বুজতে পারছিনা পাপন এর কাজ টা কি। নাসিরের এতগুলো বান্ধবী যদি তার খেলায় বিঘ্ন ঘটায়, সেটা ম্যানেজ করার দায়িত্ব তো পাপন সহ ম্যানেজমেন্ট টীমের বাকি সবার। নাসির বাংলাদেশের মত গরিব দেশের অনেক বেতন পাওয়া মানুষ। তার কাছ থেকে সর্বোচ্চটা যাতে পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যই পাপন সহ একটা বিশাল টীমকে আরও অনেক অনেক টাকা দিয়ে পোষা হচ্ছে। কিন্তু পাপন গং কি নিজেদের কাজ করতে পারছে সঠিকভাবে? পাপনের তো নাসিরের কয়টা বান্ধবী আছে সেটা জনসম্মুখে এইভাবে বলার দায়িত্ব না। তার দায়িত্ব নাসিরের কাছ থেকে ভালোটা বের করে আনা এবং সেজন্য যা যা দরকার তার সবকিছু করা। এতে করে নাসির কে যদি বান্ধবীদের কাছ থেকে দুরে রাখতে হয় তাও তার ব্যবস্থা করার কথা। উনি সেখানে ব্যর্থও হলেন এবং গায়ের জোড়ে সকল রকমের ভদ্রতা বাদ দিয়ে একজন ক্রিকেটারকে মানুষের চোখে অনেক নিচে নামিয়ে দিলেন। খেলতে না পারার ব্যর্থতার কারনে যদি নাসিরকে দল থেকে বাদ পড়তে হয়, তাহলে পাপন কেন এখনো বহাল তবিয়তে? ওহ আচ্ছা, নাসিরের বাপ তো প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট না, তাইনা?

আচ্ছা, পাপনের বায়োডাটা কি কেউ দেখেছেন? উনার ক্রিকেটীয় কি কি এমন যোগ্যতা আছে যে উনি বাংলাদেশের মত একটা উদীয়মান দলের সবচেয়ে বড় কর্তা? উনার কোন ক্রিকেটীয় রেকর্ড আছে বলে আমি শুনিনি। উনি কি কোনদিন পাড়ার ক্রিকেট খেলেছিলেন? কেউ জানেন কি?

এর আগেও উনারা আল আমিন কে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে পাঠানো নিয়ে অনেক রসালো কাহিনি করেছিলেন। আল আমিন নাকি হোটেলের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। ভাল কথা, এইটা অন্যায়। কিন্তু উনি এই অন্যায় রোধ করার জন্য কি করেছিলেন? উনি নিজে জুয়া খেলায় মত্ত থেকে বাইরে থাকতে পারবেন, কিন্তু আল আমিন আর মানুষ না (উনি অস্ট্রেলিয়া এসে মেলবোর্ন আর ব্রিসবেনে জুয়া খেলার আসরে ছিলেন এটা নিশিচত থাকতে পারেন, বাকিগুলো জানিনা)।  ওই একই আসরে সাকিব কে দেখলাম ব্রিসবেন থেকে গোল্ড কোস্টে ঘুড়ে বেড়াতে এখকানকার বাংলাদেশি ছাত্রদের সাথে। তখন দোষ হয় নাই? রুবেলের এত বড় কেলেঙ্কারি ও কিন্তু তাকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে বাধা দেয়নি। তাহলে আবারো একই কথা, আল আমিন ছেলেটা কালা, দেখতে ভুতের মত, গাইয়া, এবং ভাত পাগল। এগুলোই অনেক বড় অপরাধ ছিলো।

পাপন গঙদের দায়িত্ব ক্রিকেট ম্যানেজ করা। ক্রিকেটে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করা না। উনার কাজ রুবেল বা নাসিরের বেডরুম পাহারা দেয়া না। ৩৪ বছরের রুবেল (আরেক রুবেল) ৮ না ১০ বছর পরে দলে সুযোগ পায়, কিন্তু ২৪ বছরের নাসির পায় না। বাংলাদেশের মানুষের কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে উনি নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ উপহার দিবেন জাতিকে আবার দম্ভ ভরে বলবেন যে কার বদলে নাসির কে দলে নিবো? নাসির একটা উদাহরন মাত্র, যেটা ঘটনাচক্রে সামনে চলে এসেছে। আমরা কেউ ই জানিনা এইরকম আরও কত আছে পর্দার পিছনে।

যাকগে, আজকে আসলে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড এর দ্বিতীয় ম্যাচের কথা বলতে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচে নাসির খেলেছে অনেকটা দেশব্যাপী ওকে নিয়ে আলোচনার কারনে। সে ভাল করেছে বলে এই যাত্রায় বেচে গেলো। কিন্তু কিছু ব্যাপার লক্ষণীয়। নাসির কে কাল আসলে কোনো বিপদে ফেলার চিন্তা ছিলো কিনা টিম ম্যানেজমেন্টের?

নাসির একমাত্র বাংলাদেশী বোলার যে এই ম্যাচে ১০ ওভার বল করেছেন। ম্যাশ নিজেও করেন নি ১০ ওভার যদিও সে খুব সফল হচ্ছিলো বল হাতে এই ম্যাচে। এবং নাসির একটানা ১০ ওভার বল করেছেন। আমি কি ধরে নিবো যে নাসির কখন পিটানি খাবে সেই অপেক্ষায় ছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট? উইকেট দরকার ছিলো, মোসাদ্দেক এক ওভার বল করে এক উইকেট পেয়ে গেলো। ওরে কিন্তু আর আনা হয়নি। কিন্তু নাসির বল করেছেন একটানা। পিটানি খায়নি, ওর কপাল ভাল, যদি খেত তাহলে নাসির তো এক চান্সে স্থায়ীভাবে দলের বাইরে চলে যেতো। পানি টানার সুযোগ ও হয়তো থাকত না। এবং পাপন এর হেভভি মাসল টাইপের মুখ থেকে আমরা আবার কিছু আবর্জনা বের হতে দেখতাম।

কাল নাসিরের কপাল সেইরকম ভাল ছিলো। শেষ যেই উইকেট নিয়ে মানুষ যখন আবার প্রথম ম্যাচ কে স্বরন করা শুরু করেছিলো, খোদার কুদরতে ওটাতেও নাসিরের নাম জড়িয়ে গেলো। ম্যাশ কি কোন প্রেসারে ছিলো নাসির কে নিয়ে? আমি ম্যাশকে সন্দেহ করছিনা, কিন্তু সে নিজেও পরিস্থিতির স্বীকার হতে পারে। ম্যাচের পরে ম্যাশকে নাসির সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সে সরাসরি উত্তর দেয়নি। সে বরং নাসিরকে নিয়ে করা প্রশ্নে রিয়াদকে নিয়ে উত্তর দিয়ে নাসির সম্পর্কে এক লাইন বলেছে। এটা দেখেই মনে হচ্ছে যে নাসির রে নিয়ে কেউ কিছু বলতে চায়না। পাছে পাপনের মাসল দেখতে হয় ! আমার অনুমান মিথ্যা হোক আমি নিজেই তা চাই। তবে যদি সত্যি হয়, ম্যাশ নিজেও একটা জুয়ার অংশ হয়ে গেলেন !

এই ম্যাচে অন্তত পাপনের মুখে তালা লেগে গেলো। কিন্তু এই তালা কয়দিন যে লেগে থাকবে আমার সন্দেহ আছে। আমি বরং ভয়ে আছি, যেসব আবর্জনা পাপন এই ম্যাচের পরে বিসর্জন দিতে পারেন নি, তা তো উনার পেটে গ্যাস তৈরি করবে। এই গ্যাস যখন ফেটে বেরোবে তখন তা নাসির বা অন্য কোন ক্রিকেটারকে কিভাবে ভোগাবে !

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...