বিবিএ পড়ার অভিজ্ঞতাটা মজার ছিলো। স্যারেরা কতো ধরনের পেইন দিতে পারে তার লিস্ট করলে একটা লম্বা তালিকা হবে। এই লিস্ট হজম করতে গিয়ে আমরা একসময় কমার্সিয়াল সেন্স ডেভেলপ করি, প্রফেশনাল হতে শিখি, resilient হয়ে যাই। এসব কারনে, কোনোদিন শিক্ষকতা করার কথা মাথায় আসেনি। ক্যারিয়ার হিসেবে কর্পোরেট জব ই ছিলো একমাত্র চিন্তা; ভাবের রাজ্য, অনেক টাকা। ৬৮০০ টাকা বেতনের শিক্ষকতার চাকরির কথা কোনোদিনই মাথার ত্রিসীমানায় আসেনি। আমার মাথায় শিক্ষকতা একটা অপশন হিসেবে আসে দ্বিতীয় মাস্টার্স করার পর; কেমন যেন একটা ফিলিংস যে শিক্ষকতা ভালো লাগে।
শিক্ষক হবার পরে বুজেছি শিক্ষকতাকে own করা লাগে, নাহলে শিক্ষক হয়ে লাভ নাই। তাই খটকা লাগে যখন দেখি
- শিক্ষকরা ছাত্রদের নিয়ে গ্রুপিং করে ছাত্রদের ব্যবহার করে
- প্রথম বর্ষে আসা নাজুক লাজুক ছেলেটা অস্ত্রহাতে সুপারম্যান হয়ে যায়, শিক্ষকদের কিছু করার নাই বা উনারা কিছু করেন না; কেউ কেউ করতে গেলে আবার ছাত্রদের হাতে অপদস্থ হতে হয় বা মাইর খেতে হয়
- কিছু শিক্ষক প্রশাসনিক পদে থেকে বা উপাচার্যের ঘনিষ্ট হবার কারনে পেটের সাথে সাথে মাথাটাও মোটা করে ফেলে এবং নিজেকে সম্রাট আকবর ভাবা শুরু করেন; পুরাই আজীবস
- কিছু শিক্ষক নিজের ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষক হবার পরে তাকে প্রতিদন্ধী ভাবেন এবং বাজে আচরণ করেন; যে শিক্ষক নিজের ছাত্রের/ছাত্রীর শিক্ষক হওয়া সহজভাবে মেনে নিতে পারেনা তার কি নৈতিক কোনো অধিকার থাকে শিক্ষকতা পেশা চালিয়ে যাবার?
- শিক্ষকরা ছাত্রদের নিয়ে গ্রুপিং করে ছাত্রদের ব্যবহার করে
- প্রথম বর্ষে আসা নাজুক লাজুক ছেলেটা অস্ত্রহাতে সুপারম্যান হয়ে যায়, শিক্ষকদের কিছু করার নাই বা উনারা কিছু করেন না; কেউ কেউ করতে গেলে আবার ছাত্রদের হাতে অপদস্থ হতে হয় বা মাইর খেতে হয়
- কিছু শিক্ষক প্রশাসনিক পদে থেকে বা উপাচার্যের ঘনিষ্ট হবার কারনে পেটের সাথে সাথে মাথাটাও মোটা করে ফেলে এবং নিজেকে সম্রাট আকবর ভাবা শুরু করেন; পুরাই আজীবস
- কিছু শিক্ষক নিজের ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষক হবার পরে তাকে প্রতিদন্ধী ভাবেন এবং বাজে আচরণ করেন; যে শিক্ষক নিজের ছাত্রের/ছাত্রীর শিক্ষক হওয়া সহজভাবে মেনে নিতে পারেনা তার কি নৈতিক কোনো অধিকার থাকে শিক্ষকতা পেশা চালিয়ে যাবার?
তবে লজ্জা লাগে, যখন দেখি শিক্ষকরা
- কোনো দলের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হন এবং তা ফেসবুকে সরবে প্রচার করেন
- কোনো একটা দলের পক্ষে ফেসবুকে লাইভ ক্যাম্পেইন করেন
- দেশের প্রধানতম ভিত্তি - মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা - নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন বা এগুলোর প্রতি সম্মান দেখান না
- দিন/রাত একটা নির্দিষ্ট দলের আউল বাউল সব সংবাদ সকল ধরনের আউল বাউল সোর্স থেকে শেয়ার করেন; self-esteem বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না তখন!
- যতো বড় পদেই থাকেন না কেন, সকাল বিকাল শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার পদলেহন প্রচেষ্টা জারি রাখেন; বিভিন্নভাবে
- কোনো দলের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হন এবং তা ফেসবুকে সরবে প্রচার করেন
- কোনো একটা দলের পক্ষে ফেসবুকে লাইভ ক্যাম্পেইন করেন
- দেশের প্রধানতম ভিত্তি - মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা - নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন বা এগুলোর প্রতি সম্মান দেখান না
- দিন/রাত একটা নির্দিষ্ট দলের আউল বাউল সব সংবাদ সকল ধরনের আউল বাউল সোর্স থেকে শেয়ার করেন; self-esteem বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না তখন!
- যতো বড় পদেই থাকেন না কেন, সকাল বিকাল শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার পদলেহন প্রচেষ্টা জারি রাখেন; বিভিন্নভাবে
একজন শিক্ষক রাজনীতিতে থাকবেন, কোনো দলকে সমর্থন করবেন, রাজনীতি নিয়ে কোয়ালিটি আলোচনা করবেন - এগুলোই কাম্য। কিন্তু একজন শিক্ষকের শিক্ষকতার চাকরি করা অবস্থায় একজন রাজনৈতিক কর্মীর মতো আচরণ কতোটা শোভনীয়? রাজনীতি এতো ভালো লাগলে উনারা নিজেরাই রাজনীতি করতে পারেন, সেটাকেই পেশা হিসেবে নিতে পারেন। বাধা তো নাই, তাহলে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করার কি দরকার? বরং উনারা নিজেদের জায়গাটা ঠিক করে নিলে যারা আসলেই শিক্ষকতা পেশাকে ভালোবাসেন তারা দেশের শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
প্রশ্ন আসতে পারে আমাদের শিক্ষকেরা এতো সময় পান কি করে? অনেক কারন আছে, এরমধ্যে একটা অন্যতম কারন হচ্ছে আমাদের দেশে প্রমোশনের জন্য কোয়ালিটি পাবলিকেশন করতে হয় না। অনুষদের বা বিভাগের জার্নালে নিজের ছাত্রের করা ব্যাচেলর থিসিস ছাপিয়ে দিয়েও প্রমোশন নেয়া যাচ্ছে। আর এইসব জিনিসই প্রমোট করা হচ্ছে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাপনায়। একটা ইউজিসি আছে সেটার আবার একজন প্রধান ও আছেন যার নিজের পিএইচডি নাই। তাই উনি শিক্ষকদের প্রমোশন নীতিমালা এমনভাবে করেছেন যে ওখানে পিএইচডির কোনো মূল্য নাই। অনেকটা আমাদের ছোটবেলার পড়া the fox without a tail গল্পের মতো। উনার নাই তাই উনি উৎসাহিত করছেন যাতে বাকিরাও না করে বা করলে ঐ যে নীলক্ষেত থেকে একটা থিসিস কিনে জমা দিলেই যেন হয়ে যায়!