Friday, April 13, 2018

জাহাঙ্গীনগরে পদায়ন - বিভিন্নজনের বিভিন্ন পদে, একজনের ভিন্ন ভিন্ন পদে


আমরা যারা জাহাঙ্গীরনগরে পড়েছি তাদের জন্য জাহাঙ্গীরনগরটা ‘স্বাদের লাউ বানালো মোরে বৈরাগী’ টাইপের একধরনের ভালোবাসা। অনেক দুরে বসবাস করে অনেক ভুলে থাকতে চাইলেও জীবনের কোনো না কোনো অলিগলিতে জাহাঙ্গীরনগর এসেই যায়। তাই এটা নিয়ে প্রায়ঃশই লেখালেখি হয়ে যায়। এই যেমন আজ লেখার ইচ্ছেটা এলো জাহাঙ্গীরনগরের রেজিস্ট্রারের ইমেইল দেখে। উনি কয়েকটা ইমেইল করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন বা একই ব্যক্তির বিভিন্ন পদে পদায়ন সম্পর্কে। সবাইকে অভিনন্দন; যারা বিদায়ী তাদেরকেও অভিনন্দন। প্রিয় স্যারদের বিদায়ে কেউ বিষণ্ণ আবার কেউবা প্রিয় শিক্ষকের আগমনী সংবাদ নিয়ে ফেসবুকে সরব।

আমার অবশ্য অন্য জায়গায় চোখ পড়লো। আমি যখন জাবিতে আসি তখন বায়েস স্যার ভিসি ছিলেন সম্ভবত। তো ঐ বয়সে এইসব পদায়ন আমার পরিধির বাইরে ছিলো। এরপরে অনেক কাল জাবির বাইরে থাকায় এইসব পদায়ন চোখে পড়তো না। চাকরি করতে আসার পরে এইসব পদায়ন চোখে পড়াতে না চাইলেও বিভিন্নভাবে তা চোখে পড়েই যেতো। বা যারা এইসব পদায়নের হর্তাকর্তা তিনারা এইসব পদায়নের সংবাদ দৃষ্টিগোচর করেই ছাড়তেন।

যেমনটা বলছিলাম বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন পদে বা একই ব্যক্তির বিভিন্ন পদে পদায়ন হচ্ছে। এটা এখনই শুধু হচ্ছে তা নয়, বরং আগেও এমনটাই হতো। আমার জানা সময়ের মধ্যে, এটা মোটামুটি মুস্তাহিদ স্যারের আমল থেকেই হচ্ছে। তো এটাই ট্রেন্ড। কিন্তু এই ট্রেন্ড এর মধ্যে ‘মুরগির দেশে শিয়াল রাজার’ মতো আরেকটা ছোট ট্রেন্ড বিদ্যমান যা অনেকের চোখে পড়ে আবার অনেকের চোখে পড়েনা। এই ট্রেন্ডটা হলো, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সব আমলেই পদায়িত হওয়া।  

এই ব্যক্তিরা সব আমলে ক্ষমতাবান থাকেন, ক্ষমতার মধ্যে থাকেন, এবং ক্ষমতা নিয়ে খেলেন। আওয়ামীলীগ বিএনপি এই দু আমলে তো কোনো কথাই নাই,  জামাতমনা লোকজনও ইনাদের পছন্দ করেন এবং ক্ষমতায় বসান। আমি দ্বিধায় থাকি এই ভেবে যে, ইনাদের ক্যারিশমা অনেক ডাইনামিক নাকি যারা ক্ষমতায় বসেন তারা অত্যন্ত ভুলোমনের। আমি একই ব্যক্তিবর্গকে মুস্তাহিদ স্যার, শরীফ স্যার, আনোয়ার স্যার, এবং বর্তমান উপাচার্যের আমলে একইরকম ক্ষমতাবান থাকতে দেখছি। এটা কি করে সম্ভব? এই ধরনের ব্যক্তিদের যারা এরকম ক্ষমতায় বসান, তারা বিভিন্নসময় এদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন। কিন্তু এরপরেও পরববর্তী উপাচার্য এসে তাদেরকেই আবার ক্ষমতায় বসান। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি, এখানে কি তাহলে যোগ্যতার চেয়ে অযোগ্যতা বেশি? যা ই বেশি থাকুক না কেন, এই ট্রেন্ডটা এখন পর্যন্ত জাবির জন্য ভালো বলে প্রমানিত হয়নি।

এরই সাথে আরেকটা ট্রেন্ড হলো, একই ব্যক্তির বিভিন্ন পদে পদায়িত হওয়া। দুঃখের ব্যাপার হলো এই মাল্টিপল পদায়ন নিয়ে যারা আগে সরব ছিলেন তারাই এখন সেই কাজটি করছেন। আমি আবারো বিভ্রান্ত। বিভ্রান্তির মূল কারণগুলোর একটা হলো, এইসব পদগুলোর বেশিরভাগই সিলেকশন, ইলেকশন না। এই মাল্টিপল পদায়ন অতীতে অনেক সমস্যার তৈরি করলেও আমরা সেখান থেকে তেমন বেশি কিছু নিতে চাইনি বোধকরি।

তারপরেও জাবি ভালো থাকুক, ভালো থাকুন এর সকল স্টেকহোল্ডাররা।  

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...