Monday, June 5, 2017

ধর্ম এবং উম্মাদনা


ধর্ম। এমন এক জিনিস আপনি নাস্তিক না হলে এটাকে এভয়েড করার উপায় নাই আপনি প্রাকটিস করেন বা না করেন। কিন্তু আজ ধর্মের কারনেই বেচে থাকা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে, মানুষে মানুষে বিভাজন হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু ধর্ম আসলে কি? আমার মতে ধর্ম হচ্ছে simply a bunch of rules and regulations having direct or indirect forecast about the consequences of noncompliance। অন্যকথায় এটা এমন একটা মাধ্যম যা আপনাকে বা আপনার soul কে আপনার সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করে।

আমি মুসলমান। জন্মের পর থেকেই। আমার মত অনেকেই এইরকম জন্মগতভাবে মুসলমান বা হিন্দু বা খৃষ্টান বা ইহুদী। এবং এটাই আজকে একটা বড় সমস্যা। আপনি কি কোনোদিন নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন আপনি কেন মুসলমান বা অন্য কিছু? চলুন মুসলমানিত্ব নিয়েই কথা বলি [আমি অন্য ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করলেও এই ধর্ম নিয়েই বেশি জানি]
  • জন্মসূত্রে মুসলমান হবার কারনে আমরা অনেকেই নিজেকে কোনোদিন ঝালাই করে দেখিনা যে আমি কেন মুসলমান। তাই আমি যে মুসলমান এইটার প্রতি আমাদের real ownership নাই তেমন একটা। একবার চিনতা করে দেখুন, আপনি যে আইফোনটা কিনেছেন তার প্রতি আপনার ভালোবাসাটা কি রকম? আমি নিশ্চিত অনেক ভালোবাসা আছে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি আপনি কেন এটাকে এতো ভালোবাসেন? অনেক কারন থাকতে পারে। তবে অন্যতম একটা কারন হলো আপনি এটাকে own করেন। কেন আপনি এটাকে own করেন? কারন এটা কিনার আগে আপনি অনেক যাচাই বাঁচাই করেছেন এবং কিনার প্রক্রিয়ায় আপনার active participation আছে। আপনি এটাকে অন্যান্য ফোনের সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে দাম ছিলো, ফিচার ছিলো, ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং সবশেষে আপনি এটাকে সবদিক দিয়ে আপনার জন্য বেস্ট অপশন মনে করেছেন বলেই এটা কিনেছেন।
  • আপনার ধর্মের ব্যাপারে এইরকম যাচাই বাঁচাই করেছেন কি? কেন আপনি একটা ধর্ম পালন করছেন? By birth এর বাইরে কি চিন্তা করেছেন? কোনোদিন কি যুক্তিগুলো দাড় করাতে পেরেছেন যে কেন এই ধর্মটাই আপনার জন্য বেষ্ট অপশন? বা কেন এই by birth ধর্মটা আপনার by choice ধর্ম হতে পারে? এই জায়গায়ই আমরা মাইর খেয়ে যাই। আমরা যদি by choice ধর্ম ঠিক করতাম, তাহলে ভালো করে জানতাম আমাদের ধর্মটাকে, বুজতে পারতাম এটার সাথে অন্যগুলোর মিল বা অমিল কোথায়। এতে করে সহনশীলতা তৈরি হতো। তাহলে অন্তত কিছু বর্বরদের ধর্ম রক্ষার আন্দোলন আমাদের দেখতে হতোনা।

ধর্ম রক্ষার কথা মনে হলে আমার মারাত্মক হাসি পায়। ধর্মের নাকি রক্ষীবাহিনীর দরকার আছে। ধর্ম নিয়ে মানুষের মূর্খতা দেখে মেজাজ ঠান্ডা হয়ে যায়। এরা একবার চিন্তাও করে না ধর্মটা এসেছে কোথা থেকে ! সকল ধর্মেই দেখছি ধর্ম রক্ষাকারী বাহিনী আছে। আজকাল ইসলাম ধর্মে তা ভাইরাসের মতো ছড়াচ্ছে। এখানে ওখানে ধর্মের নামে নিজেকে ও অন্যকে মারছে। বাংলাদেশে একটা মূর্তি/ভাস্কর্য নিয়ে যা হচ্ছে, অবিশ্বাস্য। এমন একটা ভাব যে এই জিনিসের মধ্যেই সকল ধর্ম নিহিত আছে। হায়রে আজীবস প্রাণীকুল ! মানুষ নিজের ক্ষুদ্রতা সম্পর্কে ধারনা রাখেনা না বা জানেন না, তাই এইরকম করে থাকেন বোধ করি।
  • আমরা একেকজন এই এতোবড় পৃথিবীর অত্যন্ত সামান্য একটা অংশ। আর এই এতোবড় পৃথিবী পুরো মহাকাশের অত্যন্ত নগন্য একটা অংশ। মহাকাশ এতোবড় যে বিজ্ঞানীরাই এখনো তা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি। সাধারন মানুষের তো কল্পনারও বাইরে। এর মানে হলো স্রষ্টার বিশালতা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার মতো ক্ষমতাই এখনো হয় নি।
  • কিন্তু সেই স্রষ্টার সৃষ্ট ধর্মকেই নাকি আমাদের কাছ থেকে প্রটেকশন নিতে হবে! আমাদের গোঁফের তা এতোবড় হয়ে গেছে যে আমরা আজ সেই ধর্মের প্রটেকশন দিতে গিয়ে একে মারি তো ওকে ধরি। আমাদের ভাবখানা এমন যে স্রষ্টারও আমাদের প্রটেকশন দরকার। আমির খান যেমনটা PK ছবিতে বলেছেন যে 'কি ! আপনি নিজের হাতে ভগবান তৈরি করেছেন?' অথচ ধর্মের স্রষ্টা ধর্মকে সৃষ্টি করে বলেছেন এটাকে মেনে চলতে, এটার প্রটেকশন দিতে না। উনি নিজেই এটার প্রটেকশন দিবেন উনি তা বলে দিয়েছেন। এরপরেও এতো বিভাজন এতো মারামারি !!

মুসলমানদের জন্য তো ব্যাপারটা অত্যন্ত ইজি হবার কথা বুঝার জন্য। আসুন দেখি নবীজী এবং commonsense কি বলেন?

Commonsense
  • আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন আপনি কি এতোটাই block-headed হয়ে গেছেন যে আপনি দেখতে পারছেন না ধর্মের সৃষ্টীকারি ধর্মকে প্রটেকশন দিচ্ছেন। এবং ওখানে আপনার কোনো ভূমিকা নাই। আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে কোরান বর্তমান সময়ের একমাত্র ধর্মীয় বই যেটা প্রটেক্টেড? আমি বলতে চাইছি অবিকৃত। কোরান প্রায় ১৪০০ বছর ধরে অক্ষত আছে, কিন্তু বাইবেল বা অন্যান্যগুলো থাকেনি। আপনি যদি ইসলাম ধর্ম বুঝেন আপনি কি স্রষ্টার এই ইঙ্গিত দেখেন না? তাহলে আপনাকে কেন ধর্ম রক্ষার নামে নিজেকে কোরবান দিতে হবে বা অন্যের ক্ষতি করতে হবে?
  • আপনি কেন স্রস্টা যা করছেন তা করতে যাচ্ছেন? আপনি কি ইসলাম কে উনার থেকে বেশি প্রটেকশন দিতে পারবেন? তাহলে কেন এইসব ননসেন্স তৈরি করছেন? এটা কি স্রস্টার প্রতি ঔদ্ধত্য দেখানো হচ্ছেনা? ইসলাম স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ইসলাম কিভাবে কতদিন থাকবে এবং কিভাবে দুনিয়া থেকে চলে যাবে। আপনি কি তাহলে সেটায় বিশ্বাস করছেন না? আমি যতটা বুঝতে পেরেছি যে দুনিয়াতে প্রকৃত মুসলামান থাকা অবস্থায় আল্লাহ ইসলাম উঠিয়ে নিবেন না। বরং জেসাস কে আরেকবার পাঠিয়ে আবারো প্রকৃত ইসলাম কায়েম করাবেন। তাহলে আমাদের সবার আগে প্রকৃত মুসলমান হবার চেষ্টা করাই উচিৎ নয় কি? আপনাকে এটাও বলে দেয়া হয়েছে যে মুসলমান নামে কিছু অসভ্য বর্বর আসবেন এবং আপনি যেন তা থেকে নিজেকে সাবধান রাখেন। কিন্তু আপনি তা না শুনে বরং তাদের দলেই যোগ দেয়ার তালে থাকবেন কেন?
  • আশেপাশে নন মুসলিম আপনার সহ্য হয় না। নবীজী কতজন মুসলমান নিয়ে ধর্মপ্রচার শুরু করেছিলেন? উনি এতো এতো নন মুসলিম কে সহ্য করেছেন, তাদের খেদমতে নিজেকে উজাড় করে দিতে পেরেছেন, কিন্তু আপনি পারছেন না। বড্ড ভালোবাসেন নবীকে, তাই না? এইটা দিয়েই আশা করছেন বেহেশতের দরজা খুলে যাবে? নবী বলে গিয়েছেন যে আমার ছবি আঁকলে তাকে মেরে ফেলো? নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া নবীর শিক্ষা? আর আত্মহত্যার কথা না হয় না ই বললাম
  • আজকাল মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কনফিউশন যা নিয়ে তা হলো কোন ধর্মটা সঠিক। স্রস্টার ইঙ্গিতে যদি আপনি বুজেতেই পারেন যে ইসলাম সঠিক পথ, তাহলে তো আপনার আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবার কথা। সঠিক পথ পেয়েছেন, এইবার সেই পথ ধরে স্বর্গে যাবার চেষ্টা করার কথা। আপনার তো ভদ্র থেকে ভদ্রতর, মানবিক থেকে মানবিকতর হবার কথা। কিন্তু সেটা কি করছি আমরা?

নবীজী কি বলে গেছেন?
  • ইমাম মাহাদী আসবেন। এর জন্য আমার অপেক্ষা করছি। কিন্তু উনি সাথে সাথে ওই সময়কার বিভিন্ন প্রেক্ষাপটও বলে গেছেন। মুসলমানরা জিতবে, কিন্তু যেই সৈন্য নিয়ে মাহাদী আসবেন তার একটা অংশ যুদ্ধের মাঠ থেকে betray করে চলে যাবেন।
  • কথা হলো এরা কিন্তু জানবেন এরা জিতবেন, এরা এটাও জানবেন যে একটা দল ইমাম কে ছেড়ে চলে যাবেন এবং আল্লাহ তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবেন না। তারপরেও এরা চলে যাবে। কারন এরা আসলে প্রকৃত ইসলাম ধারন করেন না।

চলুন এইবার আলোচনা করি। ইমাম মাহাদীর সৈন্যদলে থাকা মানে বিশাল ব্যপার আমার মনে হয়। এটা অনেকটা স্বর্গে এক পা দিয়ে রাখার মত। কিন্তু সেখানেও এইরকম হবে। এই থেকে কি শিক্ষা নিতে পারেন?
  • প্রকৃত মুসলমান হওয়াটা সবচেয়ে বেশি দরকার। নবীজীকে কাছে পেয়েও অনেকে কিন্তু মুসলমান হতে পারেন নি। তাই, অমুক বা তমুকের কথায় কান না দিয়ে নিজের ধর্মকে নিজে খুঁজুন; by choice মুসলমান হোন, by birth না। একবারের জন্য হলেও পড়ে দেখুন যে কেন ইসলাম আপনার ধর্ম। অন্য ধর্মের সাথে এর তফাৎ কি এবং কেন সেটা গুরুত্বপূর্ন।
  • ইসলামের হেফাজত করার দরকার নাই। ইসলাম হেফাজতেই আছে। ইসলাম যার উপর ভিত্তি করে ১৪০০ বছর আগে শুরু হয়েছিলো আজো তাই ই আছে। একচুল ও বদলায়নি। বদলিয়েছি আমরা। ভুল পথে আছি আমি আপনি। চলুন ইসলামের পথে আসি। ইসলাম কে হেফাজত করবেন, এইরক দুঃসাহসিক কথাবার্তা বইলেন না। বরং নিজেকে প্রকৃত মুসলমান করে নিজে হেফাজত হোন।

নবীজী আরও বলে গেছেন যে উনার উম্মত থেকেই সবচেয়ে বেশি লোকজন বেহেশতে যাবেন। তাই খুশি হন যে আপনি এই জমানায় উনার উম্মত। আপনি ভাগ্যবান, কিন্তু সেই ভাগ্যকে পরিচর্যা আপনাকেই করতে হবে। কিভাবে পরিচর্যা করবেন সেটা আপনার উপর এবং এরজন্য আপনাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কারো কাছে দুই চার লাইন শুনে ধর্মের ভিত্তি তৈরি করবেন না। নিজের ধর্ম, হাজারো সোর্স আছে; দয়া করে পড়ে দেখুন।

Sunday, May 28, 2017

৪২ জন গ্রেপ্তার, ২ জন মৃত, এবং আহত বেশ কয়েকজন - Jahangirnagar University

৪২ জন গ্রেপ্তার, ২ জন মৃত, এবং আহত বেশ কয়েকজন
জাবি প্রশাসনের সমাধান – হল ভ্যাকেন্ট
শিক্ষক সমিতির বিবৃতি – একবার ও ছাত্র মৃত্যুর উল্লেখ নাই
আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি দুটারই এবং লজ্জা পাচ্ছি জাবিয়ান হিসেবে
---------------------------------------------------
  • একজন শিক্ষক যখন উপাচার্য হয়ে যান উনি তখন আর শিক্ষক থাকেন না। উনি কর্মকর্তা হয়ে যান। তবে যেহেতু শিক্ষকই কর্মকর্তা হোন, আমরা সবসময় শিক্ষকসুলভ চিন্তাভাবনাই পেয়ে থাকি উপাচার্যদের কাছ থেকে। শিক্ষকসুলভ আচরন মানেই হলো ছাত্রবান্ধব আচরন। কিন্তু হল ভ্যাকেন্ট ছাত্রবান্ধব আচরন না।
  • উপাচার্য মহোদয় জাবিকে own করেন কিনা সেটা এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলবোনা এখানে। তবে উনার আশেপাশে থেকে যারা সিদ্ধান্ত নেন উনারা জাবিকে কতটা চিনেন সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। Ownership না থাকলেই কেবল এই রকম কাজগুলো হওয়া সম্ভব। 
  • আমি এইরকম বলছি এই জন্য যে উনি কিন্তু একধরনের বিশ্রী আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আজকের এর নরম গদিতে এসেছেন। উনার মত কারো আসার পথ করে দিতে আমরা মধ্য রাতেও অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বাসা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলাম। আমরা শিক্ষকরাই। অধ্যাপক হোসেন এসে ঠায় দাড়িয়েছিলেন সস্ত্রীক। আর উনি ছাত্রদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়েই রোজার প্রথম দিনে ভুলে গেলেন সবকিছু। আমি আসলেই লজ্জিত বোধ করছি উনার আচরনে। এই রোজার দিনে এতো অল্প সময়ের মধ্যে এতোগুলো ছেলেমেয়ে কোথায় যাবেন? কি করে যাবেন?
  • উনি সেই ভিসি যিনি সেইসব ছাত্রদের চাকরি দিয়েছেন যারা একদিন শিক্ষকদের মেরেছিলো। শিক্ষকরা সেদিন আন্দোলন করেছিলেন যার ফল উনি ভিসি হয়ে ভোগ করছেন। আমরা মাত্র ৩/৪ জন শিক্ষক সেদিন ছাত্রলীগের ছেলেদের থামাচ্ছিলাম। অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এর হাত কেটে রক্তও পরেছিলো সেদিন। আমি খুব লজ্জা পেয়েছি যেদিন উনি ঐ ছাত্রগুলোকে চাকরি দেয়ার জন্য গো ধরে বসেছিলেন। উনি আওয়ামী ভিসি। আওয়ামী লোকজনই নিয়োগ দিবেন – বাংলাদেশে আমি এর বাইরে কিছু আশা করিনা। কিন্তু আওয়ামীলীগে কি ভালো লোকজন নাই?
  • ইনি এবং ইনার বিভাগ জাবিতে আন্দোলনের জন্য বিখ্যাত। আমি ভর্তি হবার সময় ৮ মাস খেয়ে ফেলেছিলো উনাদের ভর্তি ফি বিরোধী আন্দোলন। সেদিন ও হল ভ্যাকেন্ট করা হয়েছিলো। সেই উনি ই যদি ভিসি হয়ে আন্দোলন নিয়ে এইরকম করেন, তাহলে কি ধরে নিবো উনি বা উনারা ভেবে নিয়েছেন আন্দোলন শুধু উনারাই করবেন বা উনাদের স্বার্থেই কেবল তা করা যাবে? 
  • একটা ছেলের ধবধবে সাদা পিঠে রক্ত, আরেকটা ছেলে হাতকড়া নিয়ে হাসপাতালের বিছানায়। যতবার ছবিগুলো দেখেছি ততবারই ভয়ংকর লেগেছে। উনার নিজেরও কিন্তু ছেলে আছে, উনি কি অন্য মায়ের পেইনটা বুঝতে পারেন না? এই ছেলেদের মা যদি এইসব ছবি দেখেন তাদের কি অবস্থা হবে? আর কোন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে যে হাসপাতালের বিছানায় ও হাতকড়া লাগিয়ে রাখতে হবে? এগুলো কি উনার বিবেক কে নাড়া দেয়?
  • একজন উপাচার্য একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজার বা CEO. উনার কাজই হলো ম্যানেজ করা। কি ম্যানেজ করলেন দেখলাম। এই ধরনের ম্যানেজমেন্ট একটা বিভাগ চালাতেও সাহায্য করবে না বোধ করি।
শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা হয়তো ভুলে গেছেন যে ছাত্র নামক প্রানীগুলো আছে বলেই উনারা শিক্ষক। যেই দুজনের স্বাক্ষরে বিবৃতি দেখলাম, উনারা অনেকদিন যাবত এই পেশায় আছেন। স্যারেরা, এতোদিনের অর্জিত শিক্ষকতার সুনাম কোন কারনে এইরকম প্রশ্নবিদ্ধ করছেন? একবার নিজের বিবেক কে জিজ্ঞেস করে নিবেন প্লীজ।

ছাত্ররা – যোগ্যতা নিয়ে আপনাদেরকেও ভাবতে হবে। আপনারা তো এখনো হল ভ্যাকেন্ট ই ঠিকমত লিখতে পারছেন না। যেই হারে ভিসি বা অন্যান্য শিক্ষকদের গালিগালাজ করছেন, নিজের বাপ মা বা ভাইবোনদের ক্ষেত্রে কি একই ভাষা প্রয়োগ করতে পারবেন? কি শিখলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে? আপনারা কি ম্যানেজ করতে পেরেছেন একটা সুস্থ আন্দোলন? এখানে কি আপনাদের অসফলতা নাই?

শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আপনাদের অত্যন্ত ক্ষোভ। ধুমাইয়া গালিগালাজ করছেন। কিন্তু শিক্ষকরা কি মানুষ নন? উনাদের কি পরিবার পরিজন নাই? শিক্ষকদের ছেলেমেয়েরা কি ফেসবুকে আসেন না? উনারা কি আপনাদের এইসব গালি দেখেন না? সব শিক্ষক যদি আপনাদের বিরুদ্ধে থাকতো তাহলে তো আপনারা এতোদিন বিশ্ববিদ্যালয়েই থাকতে পারতেন না বা থাকতে চাইতেন না। কিন্তু আমি তো দেখছি এই জাবি থেকে ই অক্সফোর্ড এ ছেলেমেয়েরা পড়তে যাচ্ছেন। একবার নিজেকে ইন্টার পাসের পরের সেই আনকোরা ছেলেটি বা মেয়েটি হিসেবে ভেবে দেখবেন প্লীজ। হাটি হাটি পা পা করে আজ অনেক বড় হয়ে গেছেন। ভালো কথা, এটা নিয়ে আপনার শিক্ষকদেরও কিন্তু গর্বের শেষ নাই। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন এর মত বিখ্যাত গবেষক তার ছাত্রদের কৃতিত্ব নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। উনাকে আপনি লাখ লাখ টাকা দিয়েও এই কাজ করাতে পারবেন না। কিন্তু উনি উনার ছাত্রের বড় হবার খুশিতে এমনিই এইসব করছেন। সবই ঠিক আছে, শুধু আপনারা ভুলে গেছেন যে আপনার এই বড় হবার পিছনে আজকে যাদের গালি দিচ্ছেন তাদেরও  অনেক ভুমিকা আছে।

আমি বুজতে পারছিনা আপনাদের তীরের টার্গেট কেনো শিক্ষকরা হয়ে গেলো? আপনারা যেই হারে গালাগালি করছেন ঐসব পড়ার পরে কোনো শিক্ষক কেন  আপনার বাপ মা ও আপনার পক্ষে কথা বলতে লজ্জা পাবে। এই শিক্ষকরা কি এর পরে আপনাদের মাথা তুলে দাঁড়ানো পড়াতে পারবেন? আপনারা উনাদের মাথা নিচু করে দিলেন। উনারা এর পরে আপনাকে পড়ানোর সময় আপনি যেই গালিগুলো দিচ্ছেন তা কি মনে পড়বেনা? শিক্ষকদের জায়গায় আপনি হলে কি করতেন? কোনোদিন ভেবে দেখেছেন? একটা সহজ উদাহরন দেই। আজকে যেই গরম রক্ত নিয়ে ডেইরীতে যেতে পেরেছেন, ক্যাম্পাস ছাড়ার পরেরদিন তা পারবেন কি? পারবেন না। সেদিন রক্ত হীম হয়ে যাবে। এবং ঐদিন যারা আজকের আপনি যা করছেন তা করবে তাদের প্রতি আপনি অত্যন্ত বিরক্ত হবেন। আপনি বলবেন যে এদের কি সিভিক সেন্স নাই? সেদিন আপনি অনেক দায়িত্ববান সামাজিক হয়ে যাবেন। অথচ আপনাকে সামাজিক হতে শিখানো হচ্ছে এখন। আজ আপনি দায়িত্ববান সামাজিক হলে অনেক দায় শোধ করা সম্ভব হতো। আপনার সহপাঠী মারা গেছেন, অত্যন্ত দুঃখজনক, প্রশাসন যেটা করেছেন সেটাও দুঃখজনক। কিন্তু সমাধান কি এইভাবে? একবার চিন্তা করে দেখবেন প্লীজ।

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...