Monday, November 23, 2015

যুদ্ধাপরাধের ডামাডোলে মুক্তিযুদ্ধই হারিয়ে যাচ্ছে না তো?

এইরকম কথাগুলো মনের মধ্যে অনেকদিন ধরেই জমেছিল। আজ দেখলাম উনিও বলছেন, তাই শেয়ার দিলাম। ভিডিওর লিংক নিচে আছে।
______________________//_____________________//________________

আমি আসলে বর্তমান বাংলাদেশের জনসাধারনের দোষ দেখিনা। বরং আজকের তরুন সম্প্রদায় যেভাবে দেশকে ভালবাসছে তা দেখে আমি অভিভূত হই বার বার। দুঃখও পাই সাথে সাথে। কারন এই ভালবাসা আমার দেশের মধ্যে থেকে জন্ম নেয়নি। আমরা বাইরে আসি বা কঠিন কোন পরিস্থিতিতে পড়ে বুঝতে শিখি দেশ কি। বা উম্মুক্ত নেটের জমানায় অন্যকে দেখে নিজের দেশকে চিনি। তারপরে বুঝতে পারি এই দেশটাই সব, এটাকে ভালবাসতে হবে। কিন্তু এই বোধটা তো দেশের ভিতর থেকেই জন্ম নেয়ার কথা ছিলো। কেন নেয়না? যেই দেশের লোকজন শুধুমাত্র মুখের ভাষার জন্য যুদ্ধে যেতে পারে, সেই দেশের লোকজন দেশকে ভালবাসবেনা কেন? এটা আমার মাথায় ধরছিলনা। বিষয়গুলো নিয়ে পড়ার চেষ্টা করছি অল্পবিস্তর।

আমার মনে হয়েছে স্বাধীনতার পরে বিশেষ করে শেখ মুজিবকে মেরে ফেলার পরে এই দেশের আসল ইতিহাসটাকেই সামনে আসতে দেয়া হয়নি। মানুষ জানেনা এই দেশের সঠিক ইতিহাস কি। একের পর এক ভুল ইতিহাস আমাদের সামনে দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আমাদের জন্ম সম্পর্কেই সন্দিহান এবং একটা অস্বচ্ছ ধারনা রাখি। আমরা আমাদের জন্ম নিয়ে গর্ব বোধ করতে পারিনা, আমাদের জন্মে যাদের অবদান আছে তাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনা। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা করতে চাইনা, কিন্তু আমাদের অভ্যাসই নাই। তাই আমাদের মেরুদণ্ডটাও আর কোনদিন সোজা হয়নি। অপরদিকে সুবিধাবাদিরা এই সুযোগে আমাদের রক্তে অনেক কৃত্রিম হিমোগ্লোবিন ঢুকিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। তাই আজকে দেখি যুদ্ধাপরাধীদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যত মিডিয়া কভারেজ হয় তার ছিটেফোঁটাও হয়না মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের নিয়ে। এবং এইসব অসভ্যতামির কারনে একসময়ের সর্বপরিচিত যুদ্ধাপরাধীরা আজকে সাহস পাচ্ছে বুক ফুলিয়ে বলার যে তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি। তাই আমি অন্তত দিধাহীনভাবে বলবো শেখ মুজিবকে মেরে ফেলার পরে যেসব লোকজন ক্ষমতায় ছিলেন তাদের অবদানও কম নয় বাঙালী জাতিকে কনফিউজড রাখার ক্ষেত্রে।

আমরা আমাদের দেশে এখনো কথা বলি কে স্বাধীনতার পক্ষে আর কে বিপক্ষে। ওখানে আমরা স্বাধীনতা নিয়ে এখনো রাজনীতি করি। আমাদের দেশে স্বাধীনতার উপড় ভিত্তি করে জনগনকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। কিন্তু পৃথিবীর কোন দেশে এমনটা হয়না। সব দেশেই স্বাধীনতা সবার, এটাকে নিয়ে ভাগাভাগি হয়না। এই ভাগাভাগিটা ৭১ এ ই শেষ হয়ে আবার কথা ছিল। যাদের কারনে হয়নি আমার চোখে তারাও বেঈমান, তারা অন্তত আমার মত লোকজনের সাথে বেঈমানি করেছেন যাদের জন্ম ৭১ এর পরে।

আরও একটা ব্যাপার নিয়ে পড়ি মাঝে মাঝে। সেটা হল ধর্ম। ইসলাম ধর্মকে নিয়ে যে কত ধরনের অপব্যাখা আছে তা লিখে শেষ করার মত নয়। যে যেভাবে পারে সেভাবে ব্যখা দিচ্ছে। কেউ কেউ কোরানের দু এক লাইন তুলে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ ইসলাম বলেছে এইসব অপব্যাখ্যাকারিদের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারিত আছে। ইসলাম বলেছে ইসলাম নিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে কোরান বা সহি হাদিস দেখো। কিন্তু আমরা তা করিনা। আমরা অন্যের কথার উপড় বেশি নির্ভর করি। তাই অন্যরা আমাদের নিয়ে, আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে খেলছে। অথচ আজকাল নেটে কোরানের বাংলা কপি পাওয়া যায় অহরহ। ধর্ম পালন আর রাজনীতি যে এক জিনিস নয় এটা আমাদের লোকজনকে কেউ বলেনা সঠিকভাবে এবং মানুষগুলোও বুঝতে পারেনা ঠিকমত। 




:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...