Wednesday, August 19, 2015

অপেশাদারদের হাতে পেশাদার তৈরির দায়িত্ব দিয়ে লাভ কি?

বাংলাদেশ  ফুটবল ক্রিকেট সবকিছুতেই এগিয়ে যাচ্ছে। দেখতে এবং ভাবতে ভালই লাগে। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় এগুলোও আবার গার্মেন্টস সেক্টরের মত হবেনা তো? RMG সেক্টরও তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছিলো, আমরাও তর তর করে খুশি হচ্ছিলাম। তারপরে কি হলো? ওই যে ভিডিও গেমসের মত ফটাং করে এক ধাক্কা। সমস্যাটা কোথায় ছিলো? সমস্যা ছিলো, আমরা শুধু RMG company গুলোর আগানোই দেখেছি আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছি। সাথে সাথে যে পারিপার্শ্বিক আরও অনেক কিছুর আগানো দরকার এবং সেই আগানোর কাজটা যে আমাদেরই করতে হবে সেটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম।

খেলাধুলার ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে মনে হচ্ছে। কাল অনুর্ধ ১৬ ফুটবল দল শিরোপা তুলল প্রথমবারের মত। গর্বের ব্যাপার। কিন্তু বাকি সবকিছু নিইয়ে কি গর্ব করা যাবে? যেমন, BTV তে খেলা দেখার পরে নিজেকে আমার আফ্রিকার জঙ্গলের কোন এক দেশের বাসিন্দা মনে হয়েছে। কালকের খেলা দেখে আমার পর্যবেক্ষনঃ

১) খেলায় ভারত গোল করে সমতা যখন আনে BTV তখন গ্যালারি দেখায় এবং গ্যালারিতে কে কে আছে তাদের নাম বলে। এইটাকে পাগলামি ছাড়া কি আর কিছু বলার সুযোগ আছে?
২) গ্যালারিতে বাফুফের কর্তাব্যক্তি বসে আছেন। এই ভদ্রলোক আমাদের ছোট দেশের অনেক বড় খেলোয়াড় ছিলেন। ক্যামেরা যখন তার দিকে ধরা হল উনি তখন সিগারেট টানছেন। উনার কি আদৌ কোন যোগ্যতা আছে এই ধরনের একটা প্রতিষ্টানের প্রধান হবার? আমার সন্দেহ আছে
৩) খেলার মাত্র কয়েক সেকেন্ডস বাকি। BTV তখন খেলা সম্প্রচার বাদ দিয়ে সেখ মুজিবের উপড় গান দেখানো শুরু করেছে। এইটা কোন ধরনের সভ্যতা আমার মাথায় ঢূকেনা। মানুষ যখন সর্বোচ্চ উত্তেজনায় খেলা নিয়ে তখন কি তাদের শেখ মুজিবের উপড় গান শুনতে ভাল লাগবে? আমার তো মনে হয়না প্রধানমন্ত্রীরও তা ভাল লাগবে। তাহলে এরা আসলে করছে কি? আমি জানিনা আওয়ামীলীগ কোনদিন বুঝবে কিনা, এরা এইসব করে আসলে শেখ মুজিবকে বার বার মেরে ফেলছে, মানুষের চোখে উনাকে আরও ছোট করে ফেলছে।
৪) ধারাভাষ্যকরঃ এরা দিন দিন আজীব চিড়িয়ায় পরিনত হচ্ছে। এদেরকে tainining এ পাঠানো হচ্ছেনা কেন? এরা তো দিনের পড় দিন জাতীয় লজ্জায় পরিনত হচ্ছে। এর আগে দেখেছিলাম শামীম চৌধুরী মাশরাফিকে দিয়ে ছুটির আবেদন করাচ্ছে। এইধরনের কাজগুলোকে হয়তো এখনো পাগলামি বলা যাবে, কিন্তু চলতে থাকলে কিছুদিন পরে মানুষ এগুলোকে অসভ্যতামি বলা শুরু করবে।

এখন বলেন খেলোয়াড়দের পেশাদার করে কি লাভ, যদি যারা খেলোয়াড় বানান তাদেরকে পেশাদার করা না যায়? আশা করছি খেলাধুলাটা RMG সেক্টরের মত হবেনা। সবদিক দিয়েই উন্নত হবে।

Wednesday, August 5, 2015

কি সুন্দর সন্মান শিক্ষকদের ! গালি দিবে কিন্তু সেটাকে গায়ে মাখানো যাবেনা, পাছে সন্মান নষ্ট হয় !!

আহা কি সুন্দর সন্মান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ! গালি দিবে কিন্তু সেটাকে গায়ে মাখানো যাবেনা, পাছে সন্মান নষ্ট হয় !!
_______________________________________________________

সন্মানিত সচিব মহোদয়রা যেভাবে শিক্ষকদের নিয়ে কথা বলছেন, সবিনয়ে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে আপনার সন্তানকে কেন বিদ্যাপীঠে পাঠান। শিক্ষকরা যদি এতই খারাপ প্রজাতির হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কেন এইসব শিক্ষকদের কাছে শিক্ষা নিয়েছিলেন? ধরলাম আপনি ভুল করেছেন, আপনার সন্তানদেরকেও কেন ভুল করাচ্ছেন?

আমি বুঝিনা দেশে সরকারটা আসলে কে চালায় বা বর্তমানে দেশে সরকার নামক বস্তুটির কোন ভূমিকা আছে কিনা। কিছু লোক অপদার্থের মত কথা বলছেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে একটা বিশাল জনগোষ্টীকে অপমান করে, সরকার নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।  সরকার তো ঘুমাচ্ছেই, তথাকথিত সুশীল সমাজের কাউকেও এইটা নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখলাম না। এটা আবারো প্রমান করে শিক্ষকরা আসলেই অবহেলিত এই সমাজে; মানুষ যে কোন মুখে আবার বলে শিক্ষকদের সন্মান আছে আমার মগজে তা ঢুকেনা।

সাভারে একটা PATC আছে, আমার এক বন্ধুর কল্যানে কয়েকবার ওখানে যাবার সুযোগ হয়েছিলো। ওইটার শান সৌকত দেখলে মনে হত এখানে ভালো শিক্ষা দীক্ষাই দেয়া হয়।  কিন্তু এখন তো দেখছি আমার ধারনা ভুল। ওখান থেকে একেকজন 'গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল' তৈরি হোন যাহারা কোন ব্যাপারে  ঠিকমত ব্যাখ্যাও দিতে পারেনা। শিক্ষকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বললেই টাকার প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন উনারা, কিন্তু টাকা চাইলে বলেন  সন্মান আছে টাকার দরকার কি; ভাবটা এমন যে শিক্ষকরা ভাত খায়না, উনাদের পেট ভরে আসমানি প্রক্রিয়ায়। আবার সন্মান চাইলে বলে তোমার বেতন স্কেলতো অনেক নিচের, তুমি কেন উপড়ে উঠতে চাও? (প্রমাণ warrant of precedence). একজন উপাচার্যকে একজন সচিবের নিচের ধাপে কোন বিবেচনায় রাখা হয়?

প্রায়ই যুক্তি দেয়া হয় শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি আছে। আরে বাপ রাজনীতি নাই কোথায়? আপনি সচিবের যেই পদখানায় বসে আছেন সেটা রাজনীতিরই ফসল। আপনার চেয়ে কম রাজনীতি করতে হয় শিক্ষকদের। আর যেটুকু করতে হয় সেটুকু আপনার বা সরকারের অব্যবস্থাপনার জন্যই করতে হয়। যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০-৮০% ছাত্র/ছাত্রী বা শিক্ষক ক্যাম্পাসে রাজনীতি চায়না। এরা ক্যাম্পাস রাজনীতিকে ঘৃনা করেন। কিন্তু ক্যাম্পাসে রাজনীতি জিইয়ে রেখেছে কে? হয় আপনাদের মত লোকজন বা সরকার। কই আপনাদের তো কোনদিন দেখিনি শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ করার উদ্যেগ নিতে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে আপনারা আরও বিভাজনের চেষ্টা করেন অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। 73 Act এর চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনরা তেমন কিছু করতে না পারলে বাকিগুলাতে যা করেন তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

:: প্লেজারিজম এবং ফিডম ফাইটারস এর এস নিয়ে টানাটানি ::

 মানুষজন প্লেজারিজম নিয়ে কথা বলছে ফেসবুকে। ভালো লাগছে যে এতে যদি কারো কারো সেলফ - এস্টীম জন্মায়। চাকরির শুরুতে সব কাজ করার পরে যখন দেখতাম আর...